নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকদের কাছে সহযোগীতা কামনা করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। তিনি বলেছেন, সাংবাদিকদের মধ্যে কোন রাজনৈতিক ভেদাভেদ নয়। সাংবাদিক কোন মানুষের শত্রু না। সাংবাদিকেরা জাতির বিবেক। তারা জাতির ভবিষ্যতের কথা তুলে ধরেন। নারায়ণগঞ্জের প্রেসক্লাবের সভাপতি যেই হোক না কেন। আমাকে যদি আহবান জানান তাহলে আমি আলোচনায় বসতে রাজি আছি। জবাবদিহিতা করতে রাজি আছি। আপনারা ভেদাভেদ না করে একটি প্রেসক্লাবে সবাই একত্রিত থাকেন। যাতে প্রেসক্লাবেই বসে ধরনের সম্মেলন করতে পারি। নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনপি, মুক্তিযোদ্ধা, ব্যবসায়ী সবাই আমাকে সহযোগীতা করছে। নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে আমার সাংবাদিকদের সহযোগীতা সব থেকে বেশি প্রয়োজন আমাকে আপনারা সহযোগীতা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শনিবার ৯ এপ্রিল বেলা দুপুর ১২টায় নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের শীতলক্ষ্যা কমিউনিটি সেন্টারে ব্যবসায়ীদের সহযোগীতায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২১০ জন শিক্ষিত বেকার যুবককে মূলধন প্রদান ও মত বিনিময় সভায় সেলিম ওসমান এ আহবান রাখেন।
উদ্যোক্তা তৈরির ব্যবস্থাপনায় ছিলো ৮টি জাতীয় ভিত্তিক ও ৩৩ টি জেলা ভিত্তিক ব্যবসায়ীক সংগঠন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রি।
তিনি বলেন, শুধু ধমক দিয়ে মাদক সেবন করা যায় না। যেখানে হতাশা রয়েছে সেখানেই যুবকেরা মাদক সেবন করে। এই হতাশা দূর করতে হবে। তাদের কর্মসংস্থান করতে হবে। তাদের খেলাধূলার ব্যবস্থা করতে হবে। তাদেরকে ভাল শিক্ষা দিতে হবে। আজকে আমাদের নারায়ণগঞ্জের ভাল কোন খেলার মাঠ নাই। আমি যখন রাস্তা দিয়ে আসি যানজট দেখে আমার লজ্জা লাগে। ফুটপাতে দোকান দেখে আমার লজ্জা লাগে। যদি আমার নারায়ণগঞ্জের মানুষ তাদের জীবিকার জন্য ফুটপাতে দোকান করতো তাহলে আমার কোন কথা থাকতো না। কিন্তু আমি সাংবাদিক ও প্রশাসনের মাধ্যমে খবর নিয়ে জেনেছি যারা ফুটপাতে দোকান দিয়ে বসছে তারা নারায়ণগঞ্জের কেউ না। তারা বাইরে থেকে এসে ফুটপাত দখল করে দোকান বসাচ্ছে। আর আমার নারায়ণগঞ্জের কিছু মাস্তান, কিছু রংবাজ তাদেরকে ফুটপাতে বসিয়ে মাসোহারা নিচ্ছে। সেই টাকা দিয়ে মাদক সেবন করছে। যানজট, ফুটপাতে দোকান, শহরে জলাবদ্ধতা, সামনে ঈদ আসলে আরও দোকান বসানো হবে। তখন বলবে আমাদের কমিউনিটি পুলিশ চাই। কমিউনিটি পুলিশ দিতে টাকা চাই। গত দুই ঈদে আমরা ৬০ লাখ টাকা দিয়েছি কমিউনিটি পুলিশের জন্য। তাতে কতটুকু সুফল হয়েছে আপনারাই বলতে পারবেন। আমরা নারায়ণগঞ্জের যুব সমাজ যখন শক্ত হয়ে দাড়াবে তখন নারায়ণগঞ্জ ঘুরে দাড়াবে।
নারায়ণগঞ্জের সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দদের প্রতি আহবান রেখে সেলিম ওসমান বলেন, আসনে আমরা দলের উর্ধে এসে একত্রে নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে কাজ করি। পরিশ্রম করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান।
নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর সিনিয়র সহ সভাপতি মঞ্জুরুল হক এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ।
নতুন উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমরা আজ যারা এখানে এসেছে তার মধ্যে হয়তো বা কেউ ছাত্রলীগ করো, হয়তো বা কেউ ছাত্রদল করো। এটা তোমাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমরা রাজনীতি বা দল হিসেব করে কোন কাজ করছি না। আমি বলবো না তোমরা রাজনীতি করবে না। তবে সব কিছু ঠিক রেখে সময়ের ফাঁকে ওইটা করবে। কোন অবস্থাতেই সময় মূল্যবান সময় নষ্ট করে ব্যবসা বানিজ্যের ক্ষতি করে কিছু করবে না।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিকেএমইএ এর সিও সুলভ চৌধুরী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিকেএমইএ এর সহ সভাপতি(অর্থ) জিএম ফারুক, পরিচালক হুমায়ন কবির খান শিল্পী, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর পরিচালক ফারুক বিন ইউসুফ পাপ্পু, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু, ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না, ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জমশেদ আলী জন্টু, ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, নারী কাউন্সিলর ইসরাত জাহান খান স্মৃতি, রেজওয়ানা হক সুমি, ইফাত জাহান মায়া, খোদেজা খানম নাসরিন, বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন প্রমখু।