বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলীস্থ নারায়ণগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের (ভোকেশনাল) অধ্যক্ষকে অপসারণের দাবিতে অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ কওে রেখেছে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের ফটকে তালা দিয়ে অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নাসিরের নের্তৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করার পর শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ সুনীল কর্মকার বিভিন্ন সময় তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে আসছিলেন। তিনি তার কক্ষে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন স্থানে ধুমপান করেন। সময় মত প্রতিষ্ঠানের ক্লাসরুমগুলো খোলা হয় না। প্রতিষ্ঠানের ক্রীড়া সামগ্রী শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করতে দেয়া হয় না ।
এছাড়া পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীদের হুমকি-ধমকি দেয়া হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে ইংরেজী শিক্ষক না থাকায় পরীক্ষায় নম্বর কম দিয়ে থাকে অধ্যক্ষের স্ত্রী ও এ প্রতিষ্ঠানের ইসিসি বিভাগের শিক্ষিকা ময়না রাণী কর্মকার।
এছাড়াও শিক্ষিকা ময়না রাণী কর্মকার ট্রেড বিষয়ে অনুপস্থিত থাকার কারণে আমাদের কম নম্বর প্রদান করে। এছাড়া ম্যাডাম আমাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণসহ একবারের বেশি কোনো বিষয়ে জানতে চাইলে বিভিন্নভাবে ধমক দিয়ে থাকেন।
এ সকল অনিয়মের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের অপসারণ চেয়ে ১৪ ডিসেম্বর কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর স্থানীয় এমপির সুপারিশ সম্বলিত একটি আবেদন করে। এরপরও অধ্যক্ষের অপসারণ না হওয়ায় মঙ্গলবার তারা অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রাখে বলে জানায় শিক্ষার্থীরা।
এদিকে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ সুনীল কর্মকার সাংবাদিকদের জানান, এসএসসির যে সকল পরীক্ষার্থীরা ফরম পূরণ করতে পারছেন না তাদের বেশীরভাগেরই উপস্থিতি হার কম। তাছাড়া বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেয়ার পরেও অভিভাবকদের অবহেলার কারণে সঠিকভাবে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।