বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সংসদ সদস্য ও বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সেলিম ওসমান বলেছেন, বন্দরে কখনও সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হয়নি। বন্দরের জনগণ শান্তিপ্রিয় ও ভ্রাতৃত্ববোধক। ব্রাম্মণবাড়িয়ায় যে ঘটনা ঘটেছে তা ষড়যন্ত্রকারীদের উস্কানিতে ঘটেছে। ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসা যায়না। ক্ষমতায় আসতে হলে জনগণের সমর্থন লাগবে। সেই নবাবী আমল থেকে মীরজাফরা এ দেশে ষড়যস্ত্র করে আসছে। আর বেশী দিন নয় মীর জাফরদের মুখোশ উন্মোচন হচ্ছে। আমাদের দেশের বাঙ্গালীরা ভদ্রলোক। আমেরিকায় ভোটদিয়ে আবার তারা রাজপথে বিক্ষোভ করছে তারা আবার কেমন ভদ্রলোক? আমি জানি বন্দরের কোন ছেলে মাদকাশক্ত হবেনা। আমি চাই বন্দরের ছেলেদের আনন্দ দিয়ে মাদক থেকে দুরে রাখা যাবে। তখন প্রতিটি স্কুল শিক্ষার্থীতে ভরে যাবে। মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে রক্তচক্ষু নয় ভালবাসার আদলেই তা সম্ভব। তবে কঠোর হস্তে দমন করা হবে মাদক বিক্রেতাদের তাদের ধরে হাতের কজ্বি কেটে দেয়া দরকার।
সোমবার বিকেল ৪টায় বন্দর থানা চত্বরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি রক্ষা ও মাদক নির্মূল সংক্রান্ত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির ব্যক্তব্যে তিনি এ কথা বলেছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মো. মঈনুল হকের সভাপতিত্বে ও বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ আবুল কালামের সঞ্চালনায় মত বিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মতিউর রহমান, বন্দর উপজেলা পরিষদের র্নিবাহী কর্মকর্তা মৌসুমী হাবিব, , বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল, জেলা জাতীয়পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের প্রমুখ।
মত বিনিময় সভায় মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী দেলোয়ার হোসেন প্রধান, বন্দর ইউপি চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহাম্মেদ, ধামগড় ইউপি চেয়ারম্যান মাছুম আহাম্মেদ, মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মাকসুদ হোসেন ও মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ সালাম।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়া বেগম, ইশরাত জাহান খান স্মৃতি, শিক্ষকনেতা শেখ কামাল, থানা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফ, খান মাসুদ, হিন্দু নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শংকর সাহা, মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন, বন্দর থানা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শংকর সাহা, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ।