স্টাফ রিপোর্টার,বিজয় বার্তা ২৪
কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুকে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া কোনো রাসায়নিক ক্রিয়ায় তনুর মৃত্যু হয়নি। সোমবার বিকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক ও মেডিসিন বিভাগের প্রধান কামদা প্রসাদ সাহা সাংবাদিকদের প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন সম্পর্কে জানিয়ে এসব কথা বলেন।
২০ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে তনুর লাশ সেনানিবাসে তাদের বাসার দুই-তিন শ গজ দূরে উদ্ধার হয়। খুন করার আগে হত্যাকারীরা তনুর মাথার হিজাব টেনে খুলে ফেলে এবং মাথার লম্বা চুল কাঁচি দিয়ে কেটে দেয়। তনু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বাবা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের কর্মচারী ইয়ার হোসেন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি এখন তদন্ত করছে সিআইডি।
গত ২১ মার্চ কুমিল্লা সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর লাশের প্রথম ময়নাতদন্ত হয়। এরপর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভিসেরা পাঠানো হয়। ভিসেরা রবিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসে। কুমিল্লা ফরেনসিক ও মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক শারমিন সুলতানা তনুর প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন সম্পর্কে আজ কামদা প্রসাদ সাহা সাংবাদিকদের বলেন, তনুকে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। কোনো রাসায়নিক ক্রিয়ায়ও তনুর মৃত্যু হয়নি। প্রথম প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে দ্বিতীয় প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের জন্য তনুর লাশ কবর থেকে তোলা হয়।
এর আগে গত ৩০ মার্চ তনুর লাশ তোলার পর কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন বলেছেন, সোহাগী জাহান তনু যে হত্যার শিকার, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। লাশের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, তাকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য এবং পারিপার্শ্বিক আলামত থেকে পুলিশ সুপার এ ধারণা করছেন বলে জানিয়েছেন। এ জন্য দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তে এ-সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রতিবেদন চেয়েছেন তিনি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর সব বিষয় স্পষ্ট হবে।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে তিনি মনে করছেন, তনুকে অন্য কোথাও হত্যা করে ঝোপের মধ্যে ফেলা হয়েছে। ঘটনাস্থলে যে আলামত রাখা হয়েছে, তা সাজানো মনে হয়েছে। একই কথা তিনি বিবিসিকেও বলেছেন।