স্টাফ রিপোর্টার, বিজয় বার্তা ২৪
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায় আগামী সোমবার রাজধানীসহ দেশের সকল জেলা সদর ও মহানগরে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।
শনিবার নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- দলের অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবীর খোকন, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের ভূইয়া ও ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে গত বুধবার (৩০ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল ইসলাম মোল্লা দাখিলকৃত চার্জশিট আমলে নিয়ে তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা ওই মামলায় এ আদেশ দেয়া হয়।
গত বছরের ১৯ মার্চ মামলাটিতে চার্জশিট দাখিল করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।চার্জশিটে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনকে আসামি করা হয়েছিল। এদের মধ্যে ২৮ জন পলাতক থাকায় বুধবার আদালত চার্জশিট আমলে নিয়ে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ডেমরা রোডে গ্লোরি পরিবহনের একটি বাসে পেট্রোল বোমা হামলায় ৩১ জন দগ্ধ হয়। পরে ওই ঘটনায় নুর আলম (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হলে এই মামলাটি দায়ের করা হয়।
একই ঘটনায় দায়ের করা অপর একটি মামলায় একই আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক পৃথক আরো দু’টি চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। তিনটি চার্জশিটেই খালেদা জিয়াকে প্রধান ও হুকুমের আসামি দেখিয়ে তাকে পলাতক দেখানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান অতিথি করে ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব) আয়োজিত আলোচনা সভা করতে না দেওয়ারও নিন্দা জানান।
তিনি বলেন, সরকার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আলোচনা সভা করতে দেয়নি। পুলিশ সেখানে বাধা দিয়েছে। এর মাধ্যমে তারা আবারো দেখালো, তাদের স্বৈরাচারী আচরণ অব্যাহত।
বিএনপির এ সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার এখন আর কাউকে কথা বলতে দিচ্ছে না। তাদের অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে কথা বললেই এভাবে সভা ভণ্ডুল করে দেওয়া হচ্ছে।