নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
অবশেষে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেলেও জমা দেয়ার সুযোগ পেলেন না ফতুল্লা থানা বিএনপির সহসভাপতি এমএ আকবর। গত শনিবার রাতে তার সেহাচরস্থ বাড়ীতে ৪/৫জন যুবক ঢুকে তার মনোনয়নপত্রসহ যাবতীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। এ সময় যুবকেরা এমএ আকবরের সন্তানদের অস্ত্রের মুকে জিম্মিী করে এ সকল কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয় বলে তিনি জানান।
ধানের শীষ মনোনয়ন প্রাপ্ত এমএ আকবর সকালবার্তা প্রতিদিনের সাংবাদিককে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মোবাইলে ফোন করে জানান,বৃহস্পতিবার বিকালে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন সংক্রান্ত দলীয় চিঠি পান তিনি। রোববার সকালে ব্যাংকে একাউন্ট খুলে ঐদিনই নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন জমা দেবার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার সময় ৪/৫জন যুবক এমএ আকবরের বাসায় ঢুকে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং প্রাননাশের হুমকী দিয়ে নিবৃাচন সংক্রান্ত কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়।
এ ব্যাপারে এমএ আকবর আরো জানান,তিনি একন নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। তবে ছিনিয়ে নেয়া লোকজনদের চিনতে পারলেও সাংবাদিকদের কাছে তাদের পরিচিতি জানাতে অসহায়ত্ববোধ করেন। এ ঘটনা তিনি থানা বিএনপির সভাপতি শাহ আলমসহ সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছেন বলে জানান।
উল্লেখ্য,আসন্ন ইউপি নির্বাচনে কুতুবপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের পদে ধানের শীষ প্রতীক থানা বিএনপির সহসভাপতি চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুকে দিতে চাইলেও তিনি অনীহা প্রকাশ করায় পরবর্তেিত ইউনিয়ন বিএনপির লুৎফর রহমান খোকাকে দেয়ার চেষ্টা চালালে তাও ভেস্তে যায় তার অনীহার কারনে। পরবর্তীতে এমএ আকবরকে মনোনয়ন দেয়া হলেও মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পূর্বেই রহস্যজনকভাবে মনোনয়নপত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে চাঞ্চলোর সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে জানতে রোববার ৭টা ৮ মিনিটে দু‘দফা ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শাহ আলমের ফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি। রাত ৮টা ৩৩ মিনিটে আবারো ফোন দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।