নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
বন্দরে ১৭ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুবাই ফেরত হেলাল (৩০)কে আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। থানা পুলিশ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতারের কথা বললেও এলাকার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয়রা বলছে ভিন্ন কথা। এ ব্যাপারে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের সহকারি ইনচার্জ তথা মাদক আইনে মামলার বাদী এ এস আই আব্দুস সামাদের সঙ্গে তার ব্যবহৃত(০১৭৩০৮৩৩৭৪৮ নম্বরের) মোবাইল ফোনে আলাপকালে তিনি জানান,লাঙ্গলবন্দ চিড়াইপাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রহিম মিয়ার ছেলে হেলাল মিয়াকে শনিবার বেলা আড়াইটায় স্থানীয় বালুর মাঠের সামনে থেকে হাতে নাতে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১৭পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তবে তাকে ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে এ এস আই সামাদ জানান,হেলালকে ফাঁসানো হবে কেন তার সঙ্গেতো পুলিশের কোন শত্রুতা নেই। তাকে হাতে নাতেই ধরা হয়েছে এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে মামলাও দেয়া হয়েছে। অপরদিকে মুসাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তথা ল্যারিওয়ার্ল্ড মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ইসমাঈল হোসেন,নন্দকানন জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুল খালেক,মোঃ সালাম মাষ্টার,ধাসগড় ইউনিয়নের সাবেক ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রশীদ,ধামগড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সোবহান,একই ইউনিয়নের নেতা বিল্লাল সরদার,ধামগড় ইউনিয়নের যুব সংহতি নেতা মোঃ হানিফ,মুসাপুর ইউনিয়ন যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম পৃথক পৃথক বক্তব্যে উল্লেখ করেন,হেলাল সত্যিকার অর্থেই নিরীহ ছেলে। তার অতীতে এরূপ কোন রেকর্ড নেই তাকে পরিকল্পিতভাবে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই আনোয়ার হোসেন ফাঁসিয়েছে। তারা আরো জানান,যেহেতু নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার অত্যন্ত নীতিবান দেশব্যাপী তার অনেক সুনাম রয়েছে সেহেতু আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস তদন্ত সাপেক্ষে এর প্রকৃত তথ্য উদঘাটন হবে। মুসাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন আক্ষেপের সঙ্গে জানান,পুলিশ জনগনের বন্ধু এই শ্লোগানটি কিছু অসৎ পুলিশের জন্য ভেস্তে যেতে চলেছে। আমরা এ থেকে উত্তরণ চাই। আমরা বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম সাহেবের সঙ্গে এ প্রসঙ্গে আলাপ করেছি উনি আমাদের আশ্বস্ত করেছে তদন্ত সাপেক্ষে হেলালের বিষয়টির কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ধামগড় ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুস সোবহান জানান,মূলতঃ কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই আনোয়ার হুসাইন চিড়াইপাড়া এলাকার রফিক মিয়ার ছেলে ফুয়াদের প্রতি আক্রোশের বশীভূত হয়ে দুবাই ফেরত হেলালকে ফাঁসিয়েছে। কারণ,আনোয়ার ফুয়াদের কাছে মাসোহারা চায় কিন্তু ২০০৪ সালে ফুয়াদ অসৎ পথ থেকে তৎকালীন এসপি’র মাধ্যমে বন্দর থানার সে সময়কার ওসি’র কাছে আতœসমর্পণ করে ছেড়ে দেয়। বর্তমানে সে বালূ ব্যবসা করে তারপরও একটি চক্রের ইন্ধনে এস আই আনোয়ার ফুয়াদকে নানাভাবে হয়রানির পাঁয়তার চালিয়ে আসছে। এস আই আনোয়ারের কবল থেকে রেহাই পেতে ইতোমধ্যে ফুয়াদ বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি’র কাছে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই আনোয়ার ফুয়াদের বিরুদ্ধো একের পর এক অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একজন মানুষ সু-পথে ফিরে এসেছে তাকে এভাবে হয়রানির কোন মানে হয়না। আসলে এস আই আনোয়ার মানুষকে ভাল থাকতে দিতে চায়না। তদন্ত সাপেক্ষে এর সুষ্ঠ সমাধা প্রত্যাশা পুলিশের উর্দ্ধতন মহলের কাছে।