স্টাফ রিপোর্টার,বিজয় বার্তা ২৪
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রাণহানির দায় নির্বাচন কমিশনকেই (ইসি) নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
রিজভী আহমেদ বলেন, তফশিল ঘোষণার পর থেকে ২২ মার্চ প্রথম ধাপে দেশব্যাপী ৭১২টি ইউপি নির্বাচনের পূর্বাপর সংঘাত, সংঘর্ষ, সহিংসতায় পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির গুলিবর্ষণ এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পৈশাচিক হামলা চালিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ২২ জন মানুষকে হত্যা করেছে। নিহতদের মধ্যে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীও রয়েছেন। নির্বাচনের দিন সহ আগের দিন ও পরের দিন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রায় ১২ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানিয়ে বলেন, এখনো নির্বাচনী সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। মানুষের বাড়িঘরে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা অগ্নিসংযোগসহ হামলা-লুটপাট, নির্যাতন ও তান্ডব লীলা চালাচ্ছে। নির্বাচনী এলাকাগুলোতে এক ভীতিকর অবস্থ বিরাজ করছে।
রিজভী আহমেদ বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন, প্রশাসনের কাঙিক্ষত সহযোগিতা পাচ্ছি না। যদি সংঘাত-সংঘর্ষ হয় তবে পুলিশকে দায়-দায়িত্ব নিতে হবে। আবার নির্বাচন শেষেও তিনি বলেছেন- নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনের এ ধরনের কথাবার্তায় মনে হয়েছে তিনি মানসিক অস্থিরতায় ভুগছেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নিজস্ব শক্তিতে বলীয়ান একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। অথচ সরকারের পছন্দমতো ব্যক্তিদের এই প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলেই তারা জনমতকে তোয়াক্কা করছে না। নির্বাচন কমিশন বরাবরই অসংখ্য অনিয়মের অভিযোগ এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পরও তারা কোন কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
রিজভী আহমেদ বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিজেই বলেছেন- রাষ্ট্রযন্ত্র সহযোগিতা করছে না। সুতরাং সেই ক্ষেত্রে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিজস্ব শক্তি প্রয়োগে যাবতীয় ব্যবস্থা নিতে পারতেন। সংবিধান লঙ্ঘনের জন্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করতে পারতেন। কিন্তু তিনি সেটি না করে অনুগত হয়ে প্রভূর মনোবাঞ্ছাই পূরণ করলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সরকার যেমন বেআইনি, ভোটারবিহীন জবরদখলকারী সরকার তেমনি এই নির্বাচন কমিশনও এখন একটি বেআইনি প্রতিষ্ঠানে হিসেবে পরিণতি লাভ করেছে।