স্টাফ রিপোর্টার,বিজয় বার্তা ২৪
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধ্যাপকদের মধ্যে শতকরা ২৫ জন দ্বিতীয় গ্রেড থেকে প্রথম গ্রেডে পদোন্নতি পাবেন।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘বেতন-বৈষম্য দূরীকরণ মন্ত্রিসভা কমিটি’র বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মাহবুব আহমেদ, জনপ্রশাসন সচিব কামাল আবু নাসের চৌধুরী, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালসহ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে গৃহীত বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পে-স্কেল অনেক আগেই গেজেটভুক্ত হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন কাঠামো নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় এতদিন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। আজকের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।’
তিনি আরো বলেন, ‘নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করার পর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করছিল। তাদের দাবিগুলো নিয়ে বেশ কয়েকটি বৈঠক হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সঙ্গে সর্বশেষ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হলো। তবে সুপার গ্রেডের বিষয়টি নিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে কথা বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সমাধানের উদ্যোগ নেবে।’
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘নতুন বেতন কাঠামোতে সিলেকশন গ্রেড এবং টাইমস্কেল না থাকায় পদোন্নতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। আশা করছি, নতুন নিয়মে তাদের সমস্যা সমাধান হবে।’
বৈঠকে অর্থসচিব মাহবুব আহমেদ বলেন, ‘এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ৩য় গ্রেড থেকে ২য় গ্রেডে, ২য় গ্রেড থেকে প্রথম গ্রেডে যেতে পারবেন। ৩য় গ্রেডে থেকে ২য় গ্রেডে উন্নীত হতে হলে অধ্যাপকদের ৪ বছরের চাকরি এবং দুটি প্রকাশনা থাকতে হবে। ২য় গ্রেড থেকে ১ম গ্রেডে পদোন্নতি পেতে হলে ২য় গ্রেডের অধ্যাপক পদে ২ বছর চাকরি অধ্যাপক হিসেবে ৫ বছর চাকরিসহ মোট ২০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তবে মোট অধ্যাপকের ২৫ শতাংশ ১ম গ্রেডে পদোন্নতি পাবেন।’
বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের প্রতি সম্মান জানিয়ে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাতে আমরা কৃতজ্ঞ। এজন্য সরকারকে আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গবেষণার জন্য যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে, তা অত্যন্ত অপ্রতুল। দেশের শিক্ষার মান উন্নয়নে গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়নোর পাশাপাশি বিদেশে উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানাচ্ছি।’