নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন বলেছেন,আজকে আমি গর্বিতা নেতা নারায়ণগঞ্জের ২ জন জাতীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান এবং শামীম ওসমান আমার কর্মী এজন্য আমি নিজেকে গর্ববোধ করি। আমি এমন একটা পরিবারের সাথে রাজনীতি শুরু করেছিলাম ১৯৭২/৭৩ সন হবে সেই সময় তোলারাম কলেজের ছাত্রলীগ নেতারা অনুরোধ করলো তোলারাম কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দিতে চাইল। তখন একেএম শামসুজ্জোহার আশীর্বাদে ছাত্র রাজনীতি করি তিনি আমার রাজনৈতিক শিক্ষাগুরু হিসেবে আবির্ভূত হই। যেই পিতার শিষ্য আনোয়ার হোসেন সেই পিতার সন্তান আনোয়ার হোসেনের শিষ্য এটাই অবাক এবং বিস্ময় হওয়ার বিষয়। দীর্ঘ দিনের উত্থ্যান পতনের মধ্য দিয়ে আমাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম বজায় রয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৯টায় বন্দর থানা আওয়ামীলীগ আয়োজিত কর্মীসভায় প্রধাণ অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আনোয়ার হোসেন আরো বলেন,আমি চাই আর হিংসা নয়,নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে কোন বিভেদ নয়। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আমাদেরকে সকল বিভেদ ভুলে এগিয়ে যেতে হবে। ৬২ বছরের রাজনীতিতে আমি আনোয়ার হোসেন কিছুই করিনাই। অনেকেই অল্পদিনের রাজনীতিতে অনেক কিছুই করেছে। আমি সেসবের চিন্তা কখনো করিনি। আমি কখনো লোভ-লালশার শিকার হইনাই। রাজনীতিতে শৃঙ্খলা ও আদর্শ হচ্ছে সবচেয়ে অগ্রগতির প্রধাণ মাধ্যম। একটা দলের শৃঙ্খলা সবচেয়ে বড় কথা। শৃঙ্খলা এবং আদর্শ ছাড়া যেমন দেশ চলতে পারেনা তেমনি শৃঙ্খলা-আদর্শ ছাড়া কোন দল চলতে পারেনা। আমি এবং খোকন সাহা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দলের মধ্যে শৃঙ্খলা এবং আদর্শ ও সুসংগঠিত একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে তুলতে। যেই দল পচাত্তুরে যেই ভুল আমরা করেছিলাম আর সেই ভুল কিন্তু আমরা করতে পারিনা। আগামী দিনে পচাত্তুর সালের মতো যাতে আর কোন ঘটনা না ঘটে। আমরা যাতে ঐক্যবদ্ধ থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাই মিলে সুস্থ রাজনীতির চর্চা করতে পারি সের্দিকে খেয়াল রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন সোনার দেশ গড়তে হলে সোনার মানুষ প্রয়োজন। আমরা সে সোনার মানুষ পয়দা করতে পারি নাই। সেই ব্যর্থতার গ্লানি আমরা এখনও মুছতে পারি নাই। শেখ হাসিনা চেষ্টা করে যাচ্ছেন সোনার মানুষ তৈরী করার। যে মানুষদের সঙ্গে নিয়ে আগামী দিনগুলোতে সুখি,সুন্দর ও অবাধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখছেন। সারাদেশে কিভাবে চলছে জানিনা কিন্তু আমরা চাই নারায়নগঞ্জে একটি সুষ্ঠ,নিরপেক্ষ,সুশৃঙ্খল সংগঠন। যে সংগঠনের মাধ্যমে দেশ ও জাতির কল্যাণ বয়ে আনতে পারবে। বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল কাদির ডিলারের সভাপতিত্বে বন্দর বাজারস্থ শাহ আলম সুপার মার্কেটের ২য় তলায় অনুষ্ঠিত সভায় গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট খোকন সাহা,বন্দর থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবেদ হোসেন,মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শেখ হায়দার আলী পুতুল,আলহাজ্ব নূরুল ইসলাম চৌধুরী,যুগ্ম সম্পাদক এহসানুল হাসান নিপু,জিএম আরমান,আহসান হাবিব,সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মাহমুদা মালা,প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা আইয়ূব আলী, সদস্য শাখাওয়াৎ হোসেন সুমন,নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক রোকনউদ্দিন আহাম্মদ,১৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর,কদমরসুল পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জামান,সোনাকান্দা পৌর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাজী আলমগীর হোসেন(এমএসসি),বন্দর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবিএম আমিরুল ইসলাম,পৌর আওয়ামীলীগ নেতা কাজী শহীদ আহাম্মদ,নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মেঃ জুয়েল হোসেন ও নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের শিক্ষা ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক মামুন আহমেদ ইমন। নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ূন কবির মৃধা’র সঞ্চালনায় ও ২১ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা সামসুল হাসানের সহযোগিতায় এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বন্দর থানা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সহিদুল হাসান মৃধা,আইন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নূর হোসেন,সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শাহজাহান মোল্লা,থানা যুবলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট হাবিব আল মুজাহিদ পলু,সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এম এ হাতেম,সাংগঠনিক সম্পাদক এস আই জুয়েল,রেজাউল করিম রাজা,বন্দর থানা শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জলিল সরকার,বন্দর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী জহিরুল ইসলাম,বন্দর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফ,সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদ,যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান কমল,সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন,আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বন্দর উপজেলা শাখার আহবায়ক শেখ কামাল হোসেন,২০ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম কাইয়ূম,হাজী জহিরুল ইসলাম,২৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা আমির হোসেন ভুলু,আতিকুর রহমান মাসুম,জাকির হোসেন পণির,বন্দর থানা কৃষকলীগ নেতা আব্দুস সালাম,মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জসিম খন্দকার,মতিউর রহমান রোজেল,রেসিন,জয় প্রধাণ, কেন্দ্রীয় চলচ্চিত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন মদিল,১৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আনোয়ার জওদাদ শিশির,হাজী মানিক মাহমুদ,২২ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা শহীদুল ইসলাম সুমন,শেখ মোঃ মমিন,২৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা শাহনেওয়াজ রাহাত,সাইদুজ্জামান শাকিল,মনিরুজ্জামান মনু,মনিরুজ্জামান উজ্জল,বন্দর থানা মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী নিঃসন্ধা,ডলি বেগম,সিমা আক্তার সিমলা,১৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা ওয়াদুদ হোসেন টিটু,কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শোয়েব আহমেদ লিটন,থানা ছাত্রলীগ নেতা রাসেল প্রধাণ,আরাফাত কবির ফাহিম,থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রাহুল হোসাইন প্রমুখ।