বন্দর ইউপি নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে জনতার প্রশ্ন
এহ্সান না রফিকুল ॥ কে হচ্ছেন আওয়ামী নৌকার মাঝি?
নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলাধীন বন্দর ইউনিয়ন পরিষদ এর আসন্ন নির্বাচনে কে হবেন সরকার দলীয় তথা আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকধারী চেয়ারম্যান প্রার্থী, বর্তমান চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহম্মেদ নাকি সম্ভাব্য প্রার্থী আওয়ামী সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম? দু’জনেরই প্রত্যাশা নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন। এদের দু’জনেই ছিলেন গত নির্বাচনের শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বি। জনপ্রিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতায় গত নির্বাচনে ছিলেন দু’জনেই সমানে-সমান। এবারও তারাই করবেন ভোটর লড়াই। তবে এবার আর সমানে সমান নয়। জনপ্রিয়তায় দু’জনার রয়েছে আকাশ-পাতাল ব্যবধান। যা প্রতীয়মান হতে পারে একমাত্র সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে। তাছাড়া উল্লেখিতদের মধ্যে এহসান স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের সমর্থক ও এলাকার চিহ্নিত খুণী সন্ত্রাসীদের গডফাদার ও জামায়াতের শেল্টারদাতা হিসেবে সমালোচিত এবং রফিকুল নিঃস্বার্থ সমাজ কর্মী, স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগের সদস্য ও প্রয়াত এমপি আলহাজ্ব নাসিম ওসমানের প্রিয়পাত্র হিসেবে আলোচিত।
গত নির্বাচনে স্থানীয় পর্যায়ে দলীয় সমর্থনও প্রতীক মূখ্য ছিলনা। বর্তমান নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রথা সৃষ্টি করে দেয়ায় দলীয় প্রতীক নিয়ে হচ্ছে নির্বাচনের আগে আর একটা নির্বাচন। যাকে বলে মনোনয়ন যুদ্ধ। বন্দর ইউপি নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন এবং নৌকা প্রতীক পেতে এ যুদ্ধে অবতীর্ণ এখন এহ্সান ও রফিকুল।
বন্দর ইউপি এলাকার অধিকাংশের মতে রফিকুল যেহেতু প্রয়াত সাংসদ আলহাজ্ব নাসিম ওসমানের প্রিয়পাত্র এবং আওযামী লীগের ঘরের ছেলে, সেহেতু নৌকার দাবীদার কোন স্বাধীনতা বিরোধী নয় হতে পারে ঘরের ছেলে রফিকুল। তবুও দলীয় নীতি-নির্ধারকদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় স্থানীয় আওয়ামী সমর্থক এবং জনসাধারণ। কেননা তারা এরই মধ্যে স্থানীয়ভাবে ওয়ার্ড থেকে ইউনিয়ন এবং থানা পর্যায়ের আওয়ামী সভাপতি সম্পাদকদের সমর্থনে রফিকুলকে করেছেন সমর্থন। ফলে স্থানীয় ভোটার সাধারণের দৃষ্টি এখন দলের জেলা ও কেন্দ্র পর্যায়ের নীতি নির্ধারকদের দিকে।
কর্মকান্ডে এহ্সান:
জানা গেছে, গত নির্বাচনে স্থানীয় ভোটারদের কাছে এহসান উদ্দিন আহমেদ ছিলেন বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান ও থানা বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুলের আর্শীবাদ পুষ্ট বিএনপি’র একনিষ্ঠ প্রার্থী হিসেবে পরিচিত। সে সময় তিনি ভোটারদের কাছে নিজেকে বিএনপি’র প্রার্থী প্রমান করতে দলীয় সভাপতি তথা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুলের গাড়ী নিয়ে গণসংযোগ করেন। যদিও তিনি পাশ করার পর চেয়ারম্যান মুকুলের সাথে গোপন সম্পর্ক বজায় রেখে বিগত ৫ বছর ছিলেন ওসমান পরিবারের তোষামদিতে ব্যস্ত, কিন্তু মূলত তিনি বিএনপি’র একনিষ্ঠ কর্মী এবং সময়ের প্রয়োজনে ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ঠজন। স্থানীয় ভোটারদের মতে তিনি একজন সুবিধাবাদী নেতা। স্বার্থের জন্য কাস্তে ধরেন আবার সুবিধা পেলে কাঁধে চড়েন। এছাড়াও তিনি তার বিতর্কিত সকল কর্মকান্ডে প্রতিবাদ করার অপরাধে তারই নির্দেশে বিগত ২০০৪ সালে নবীগঞ্জ ডিলারবাড়ি এলাকার মিলন ওরফে টোকন নামে এক উঠতি বয়সের যুবককে চলন্ত রিক্সা থেকে গলায় গামছা দিয়ে টেনে হিচড়ে নিচে নামিয়ে নবীগঞ্জ রেল গেটস্থ তার (এহ্সানের) নিজের জমিতে নিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে অত্যন্ত নৃশংসভাবে খুন করে তার পালিত সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় এহ্সান দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন এবং এক পর্যায়ে জামীনে এসে ঐ খুণী সন্ত্রাসীদেরকে প্রকাশ্যে শেল্টার দেন। তৎকালীন সময়ে ঐ টোকন হত্যার ঘটনায় ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ করায় এলাকার দুই সাংবাদিককে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করতে ব্যর্থ হয়ে মামলা শেষ করার পর তাদের দেখে নেয়ার হুমকি দেন এবং নিহত টোকনের অভিভাবককে ৬ লাখ টাকা দিয়ে মামলা নিষ্পত্তি করার পর ২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেনের সময় টোকনের বাবার সাথে আপোষ করে ফেলেছি তোদের সাথে আর বিরোধ কেন এমন উক্তিতে উল্লেখিত দুই সাংবাদিককে ডেকে নিয়ে চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে তৎকালীন নিয়োজিত সেনা ও র্যাব সদস্যদের হাতে তুলে দেন। এতে করে টোকন হত্যার ঘটনায় এহ্সানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে উল্লেখিত দুই সাংবাদিককে যৌথবাহিনী’র হাতে অসহনীয় শারিরিক নির্যাতনের কষ্ট স্বীকার করেও আবার মিথ্যা চাঁদাবজি মামলায় জেলে যেতে হয়।
তাছাড়া ১৯৭১এর মুক্তিযুদ্ধ কালে এহ্সানের পূর্ব পুরুষরা স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের সদস্য ছিলেন বলেও জনশ্রুতি রয়েছে। হয়তো এ কারনেই তিনি সম্পূর্ণ রাজাকারী ষ্টাইলে সাংবাদিকদের ওপর এভাবে প্রতিশোধ নেন। এ নিয়ে স্থানীয় সাধারণের মন্তব্য এমনস যে তার শরীরে রাজকারের রক্ত বহমান বিধায় তিনি এহেন নিষ্ঠুরতা করতে পেরেছেন। কিন্তু তিনি স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের বংশধর হয়েও ওসমান পরিবারের তোষামোদি করে নৌকা প্রতীক নিতে এখন তিনি মরিয়া হয়ে ওঠেছেন। সূত্রমতে, নৌকা প্রতীক পেতে ৫০ লাখ টাকার মিশনে নেমেছেন তিনি। কিন্তু স্থানীয় আওয়ামী সমর্থকদের চোখে তিনি একজন বিতর্কিত ও সুবিধাবাদী প্রার্থী।
আলোচনা এবং উন্নয়নে রফিকুল:
এদিকে বন্দর ইউনিয়ন পরিষদ এর আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য অপর প্রার্থী বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সদস্য এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রয়াত এমপি আলহাজ্ব নাসিম ওসমানের অত্যন্ত প্রিয়পাত্র মোঃ রফিকুল ইসলাম গত নির্বাচনে ছিলেন সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পরিচিত। কিন্তু বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সদস্য হিসেবে এবার তিনি দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। আওয়ামী ও জাতীয় পার্টি নেতা-কর্মীসহ স্থানীয় ভোটারদের মতে নৌকা প্রতীকের প্রকৃত দাবীদার মোঃ রফিকুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে তারা বলেন প্রথমত তিনি বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সদস্য, দ্বিতীয়ত তিনি চেয়ারম্যান না হয়েও প্রয়াত এমপি আলহাজ্ব নাসিম ওসমানের নির্দেশে নিজস্ব তহবিল থেকে বন্দর ইউনিয়ন এলাকায় রাস্তা-ঘাট, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদের অবকাঠামোগত উন্নয়নে আর্থিক অনুদানসহ জনকল্যাণে যখন যেখানে যতটুকু সম্ভব ভূমিকা রেখেছেন।
যার উল্লেখযোগ্য কিছু উন্নয়ন সম্পর্কে বর্ণনা দিতে গিয়ে স্থানীয় ভোটাররা জানান, আলহাজ্ব নাসিম ওসমানের নির্দেশে ২০০৯ ইং সালের মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত বন্দর উপজেলা নির্বাচনে তাঁর মনোনীত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মনোনয়ন পত্র থেকে শুরু করে নির্বাচিত হওয়া পর্যন্ত যাবতীয় ব্যয় বহন করেন রফিকুল ইসলাম। হাজী আব্দুল মালেক উচ্চ বিদ্যালয়ে তৎকালীন সময়ে এলাকার উন্নয়ন সম্পর্কিত পরপর তিনটি মিটিং করেন যার যাবতীয় ব্যয় বহন করেন রফিকুল ইসলাম। পাশাপাশি এমপি নাসিম ওসমানের নির্দেশে ড্রেজারের সাহায্যে হাজী আব্দুল মালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুর ভরাট ব্যয় বাবদ রফিকুল ইসলাম অনুদান দেন ৬লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা। যা ভরাট করার পর রফিকুলেরই চেষ্টা তদবীরে সেখানে হাজী আব্দুল মালেক উচ্চ বিদ্যালয় ও ২৬ নং কুশিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন দুটি ভবনের জন্য আলহাজ্ব নাসিম ওসমান এমপি এক কোটি টাকা সরকারি বরাদ্দ দেন। যা নির্মাণ সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত তিনি বেঁচে না থাকায় এই নতুন ভবন দুটি উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বর্তমান এমপি আলহাজ্ব সেলিম ওসমান।
এদিকে বিগত ২০১০ইং সালে কুশিয়ারা নুরা সর্দার এর বাড়ি হতে রমিজুদ্দিন মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত নিজ উদ্যোগে ৩ লক্ষ ৬২হাজার টাকা ব্যয়ে একটি মাটির রাস্তা, ফিরোজ মেম্বারের বাড়ি হতে রাজা মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত অপর একটি মাটির রাস্তা নির্মাণে ৪ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা, ওহাব মিয়ার বাড়ি হতে আলতাফ উদ্দিন মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত পুরাতন রাস্তার সংস্কার কাজে ১০হাজার টাকা, গনপাড়া মনির ডাক্তারের বাড়ি হতে সুরুজ মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত মাটির রাস্তা নির্মানে ব্যয় ৪২হাজার টাকা ও ইউনিয়নের পুরান বন্দর চৌধুরী বাড়ি কলোনী এলাকায় ৯টি গলিতে ৯টি লোহার গেইট নির্মানে নিজস্ব তহবিল থেকে তিনি ব্যয় করেন ৮৫ হাজার টাকা।
এসব অবকাঠামোগত উন্নয়ন ছাড়াও একই বছরে ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তা সংস্কার, সামাজিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ ও মসজিদ, মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজে তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনুদান দিয়ে সহায়তা করেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বন্দর কলাবাগ সাঈদ মিয়ার বাড়ি হতে বন্দর রেললাইন পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার কাজে ২০হাজার, দক্ষিণ কলাবাগ এলাকায় সমাজ কল্যাণ মূলক ক্লাব নির্মাণে ৪০হাজার, পুরান বন্দর জনতা ক্লাব মেরামত ও শহীদ মিনার নির্মাণ কাজে অনুদান ২৫ হাজার টাকা ও ২৫ বস্তা সিমেন্ট। তিনগাও সোনারবাংলা যুবসংঘে একটি টেলিভিশন, দুইটি বৈদ্যুতিক পাখাসহ নগদ অনুদান দেন ১০ হাজার টাকা। কুশিয়ারা, বাড়িখালী ও চিনারদী ৩টি মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজে অনুদান দেন ৪৫ হাজার টাকা। বন্দর ইউনিয়ন এলাকায় মোট ৪৫ টি মসজিদের মধ্যে ২৭টি মসজিদের উন্নয়ন কাজে তিনি অনুদান দেন ১০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা করে।
এছাড়া ২০১৩ সালে তিনি পুণরায় হাজী আব্দুল মালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের বাউন্ডারী গাইডওয়াল নির্মাণ কাজে অনুদান দেন ৫ হাজার ইট, ২০১৪ সালে পুরাণ বন্দর গণপাড়া সমাজ কল্যাণ সংস্থা প্রতিষ্ঠায় তিনি অনুদান দেন ৫০ হাজার টাকা, ২০১৫ সালে কুশিয়ারা আফজাল মিয়ার বাড়ির সামনের পুরাতন রাস্তা সংস্কার কাজে দেন ৪ হাজার টাকা, কুশিয়ারা টিনের মসজিদ নামে পরিচিত নতুন মসজিদের গেইট বাউন্ডারী নির্মাণ সহ মসজিদের প্রাঙ্গণ পাকাকরণ কাজে ২০১৫ সালে অনুদান দেন তিনি ১ লক্ষ ৪ হাজার টাকা। এছাড়াও ২০১১ থেকে অদ্যাবদি দরিদ্র মেয়ের বিয়ে, স্কুল শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ও চিকিৎসাসহ সহ নানা সহযোগীতায় রফিকুল ইসলামের দান-অনুদানের হাত রযেছে প্রসারিত। যদিও ব্যক্তিগত তহবিল এ ক্ষেত্রে যথার্থ নয়, তবুও নিজের সামর্থ অনুযায়ী জনতার ভালবাসা ও মহান রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি লাভে এবং নিজ দলীয় সরকারের ভাবমুর্তি উজ্জল করার প্রয়াসে প্রয়াত নেতা আলহাজ্ব নাসিম ওসমানের যোগ্য কর্মী হিসেবে তারই নির্দেশে অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি মানব কল্যাণ ও সমাজ সেবা মূলক এসব কর্মকান্ড।
ইউনিয়নের কুশিয়ারা এলাকার স্থানীয় ভোটাররা রফিকুল সম্পর্কে বলেন, এহসান ইদ্দিন আহাম্মেদ বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হয়ে সরকারি বরাদ্দে যতটুকু উন্নয়ন করেছেন নিজস্ব তহবিলে রফিকুল ইসলাম তুলনা মূলকভাবে তার চেয়ে অনেক বেশী উন্নয়ন করেছেন। বিশেষ করে সরকারি দলের কর্মী কয়ে রফিকুল নিজের টাকায় সরকারের করনীয় অনেক দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট ছিলেন। নিজ দলীয় সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জল করা এবং প্রয়াত এমপি নাসিম ওসমানের সন্তুষ্টি লাভ করাই ছিল তার একমাত্র ব্রত। আজ যদি দল তাঁকে দলীয় প্রতীক দিয়ে মূল্যায়ন না করেন তবে তা সঠিক এবং যুক্তিযুক্ত হবে আওয়ামী দলীয় নীতি-নির্ধারকদের কাছে এটাই এখন বন্দর ইউনিয়ন এলাকার ভোটার ও তৃণমূল পর্যায়ের আওয়ামী নেতা-কর্মীদের প্রশ্ন।