ফতুল্লার স্বেচ্ছাসেবক লীগনেতা সোহেল হত্যাকান্ডের ৬ বছরেও বিচার হয়নি
সন্ত্রাসীরা এখনো প্রকাশ্যে অপরাধ করে বেড়াচ্ছে
নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
জেলার ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছা সেবক লীগ নেতা সোহেল হত্যাকান্ডের ৬ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো বিচার পায়নি সোহেলের পরিবার। হত্যাকান্ডে অংশ নেয়া সন্ত্রাসীরা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ নিহত সোহেলের পরিবারের। এই হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ নেয়া সন্ত্রাসীরা সোহেল হত্যা মামলা স্বাক্ষিদের নানা ভাবে ভয় ভিতি দেখানোসহ মামলার ঘটনায় স্বাক্ষি না দিতেও হুমকী দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১৯ মার্চ প্রকাশ্যে ফতুল্লার দাপা আদর্শ স্কুলের সামনে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে তৎকালীন সাংসদ কবরীর ক্যাডার বাহিনী।
ফতুল্লার স্বেচ্ছা সেবক লীগ নেতা সোহেল হত্যাকান্ডের ৬ বছর পার হলেও এখনো বিচার পায়নি তার স্বজনরা। অপর দিকে সাবেক এমপি কবরীর ক্যাডার ও সোহেল হত্যাকান্ডের মূল হোতা সন্ত্রাসী হিটলার, রনি, ফুয়াদ, কানা সুমনসহ অন্যান্য হত্যাকারীরা নিজ নিজ বাহিনী নিয়ে এখনো বীরদর্পে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে ঘুরে বেড়াচ্ছে এমন অভিযোগ সোহেলের স্বজনদের। হত্যাকারীদের অনেকে জেলা ও থানা আওয়ামী লীগের শীর্ষ ও মাঝারি পর্যায়ের নেতাদের নাম ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এদিকে সোহেল হত্যাকান্ডের পর বর্তমান এমপি শামীম ওসমান জানাযায় অংশ নিতে গিয়ে হত্যাকারীদের সাথে কোন আপোষ করবেনা এবং কাউকে ছাড় দেয়া হবে বলে বক্তব্য রেখেছিলেন। কিন্তু হত্যকান্ডের ৪ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো বিচার পায়নি সোহেলের স্বজনরা। স্বজনদের দাবি দল ক্ষমতায় থেকেও যখন বিচার হচ্ছেনা তবে এ বিচার হবে কবে?
সূত্রমতে, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কবরী বাহিনীর সন্ত্রাসী ব্যাংক ডাকাত হিটলার, বাবু, মমিন, রনি, সেন্টু, কানা সুমন, ফুয়াদ, ডাকাত খেলাফত, আবুল, ডাকা, আব্দুল, মির্জা পাভেল, ডাকাত সহ প্রায় ৩০/৩৫জন শসস্ত্র সন্ত্রাসী সোহেলকে পরিকল্পিত ভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে প্রকাশ্যে নির্মম ভাবে হত্যা করে। সোহেল কবরীর ক্যাডারদেতর এলাকায় মাদক ব্যবসা, ডাকাতিসহ নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বাধা হয়ে দাড়িয়েছিল বলেই তাকে নির্মম ভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হতে হয়। এলাকা নিজ নিজ অবস্থান ও প্রভাব বিস্তার করতেই কবরীর সন্ত্রাসী বাহিনী তুচ্ছ ঘটনার জের ধওে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে নির্মম ভাবে হত্যা করে বীর দর্পে এলাকা ত্যাগ করে চলে যায়। এই হত্যাকান্ডের পর নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বর্তমান সাংসদ শামীম ওসমান নিহত সোহেলের জানাযা নামাজে অংশ নিতে গিয়ে প্রকাশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছিলেন, হত্যাকারীদেরৃ কোন ভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। এদিকে সোহেল হ্যাকান্ডের ৪ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো সুষ্ঠু বিচার পায়নি তার স্বজনরা। এখনো পুত্রের হত্যাকারীদের বিচার চায় নিহত সোহেলের মা ও তার স্বজনরা। অপর দিকে সোহেল হত্যা কান্ডের পর এসব সন্ত্রাসীদেও হাতে নির্মম ভাবে খুন হয় যুবলীগ কর্মী নাহিদ। এলাকাবাসীর দাবি সোহেল হত্যার বিচার হলে যুবলীগ কর্মী নাহিদ নিমর্ম ভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হতো না। সূত্র জনায়, সোহেল ও নাহিদ হত্যা মামলার আসামীরা এখন বোল পাল্টে নিজ এলাকায় অবস্থান নিয়ে এলাকায় ব্ল্যাকমেইলিং, চাঁদাবাজী, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদের মধ্যে পিলকুনী এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও সোহেল হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ব্যাংক ডাকাত হিটলার, বাবু, ডাকাত শাহীন পিলকুরীর জুয়েল ও মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনুর নাম ব্যবহার করে নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বেড়াচ্ছে। এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে সন্ত্রাসী রনি, কানা সুমন, ফুয়াদসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা। এলাকাবাসীর দাবি এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এখনি ব্যবস্থা নেয়া জরুরী। অন্যথায় যে কোন সময় এসব সন্ত্রাসীদেও হাতে সাধারন মানুষ হত্যাকান্ডে শিকার হতে পারে। এ ব্যাপারে সাংসদ শামীম ওসমানের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে এলাকাবাসী।