নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আয়নাল হকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেছেন, উনার মৃত্যুতে আমরা একজন অভিভাবক হারিয়েছি। আয়নাল চাচা শুধুমাত্র জাতীয় পার্টি করতেন না। উনি আমার বাবার সহকর্মী ছিলেন। আমার বড় ভাই নাসিম ওসমানের সাথে কাজ করেছেন। এরপর তিনি আমার সাথেও কাজ করেছেন। উনার এমন চলে যাওয়া আমাদের সবার জন্য অপূরনীয় ক্ষতি। আমাকে যদি কেউ তুমি করে সম্বোধন করে ধমক দিয়ে কোন কাজ করাতেন সেই মানুষটি হচ্ছে আয়নাল চাচা। উনি নাসিম ওসমানকেও ধমক দিতেন এমনকি আমার বাবাকেও উনি ধমক দিয়ে কাজ করাতেন। উনার কোন আচরনে যদি কেউ মনে কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আমি উনার হয়ে ক্ষমা চাইছি। উনার কাছে কারো কোন লেনদেন থাকলে আমাদের জানাবেন। আমরা উনার পরিবারের সাথে আলোচনা করা তা পরিশোধের ব্যবস্থা করবো। পাশাপাশি আয়নাল চাচা যে সকল কাজ অসমাপ্ত রেখে গেছেন আমরা সে গুলো দ্রুত সম্পন্ন করবো। এ নিয়ে এলাকায় কেউ কোন প্রকার রাজনীতি করবেন না। আয়নাল চাচার যে সকল স্বপ্ন ছিলো সে গুলো আমরা সকলে মিলে পূরন করার ব্যবস্থা করবো। আপনারা সবাই উনার জন্য দোয়া করবেন।
মঙ্গলবার(১৫ মার্চ) বাদ আছর বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া এলাকায় চেয়ারম্যান আয়নাল হকের নামাজের জানাজার পূর্বে সকলের উদ্দেশ্যে সেলিম ওসমান এসব কথা বলেন।
জানাজা শেষে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জাঙ্গালিয়া গালিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনারা নাজনীন, বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কালাম, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আফজাল হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ সালাম সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ,এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি সহ কয়েক হাজার মুসুল্লী।
উল্লেখ্য আয়নাল হক ছিলেন ধামগড় ইউনিয়নের টানা ৩ মেয়াদে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা। শারিরীক অসুস্থ্যতার কারনে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টায় তিনি মারা যান।