নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
বন্দরে মাত্র ১সপ্তাহের ব্যবধানে দু’টি খুনের ঘটনার রেশ না কাটতেই আবারো খুন হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে যে কোন সময় মমিনুল হক লিয়ন(২৬) নামে এক ছাপাখানা শ্রমিককে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর লাশটি থানার কল্যান্দীস্থ পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ফেলে যায় অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার সকালে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। নিহত মমিনুল হক লিয়ন সোনারগাঁ থানাধীন নবীনগর এলাকার আব্দুল মোতালেবের ছেলে। সে নারায়ণগঞ্জ শহরের রিভারভিউ কমপ্লেক্সে তার ভগ্নিপতির বিসমিল্লাহ স্ক্রীণপ্রিন্ট কারখানায় কাজ করতো। এ ব্যাপারে নিহতের ছোটভাই রিয়াদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামী করে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়,রিয়াদ ও লিয়ন বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় এরা উভয়েই কারখানায় যায়। বেলা ২টায় সে ভাইকে রেখে বাসায় চলে যায়। রাত ১০টায় লিয়ন রিয়াদকে ফোন দিয়ে সে বাড়িতে আসবে বলে জানায়। এরই মধ্যে রাত দেড়টায় লিয়ন তার বিয়াই মিঠুকে শরীরটা ভাল লাগছেনা বলে কারখানা থেকে বের হয়। ২টায় লিয়ন তার (নবীনগর)এলাকার নৌকার মাঝি দীল মোহাম্মদের ছেলে সুমনকে নৌকা নিয়ে থাকার জন্য বলে আর সে আসেনি। পরদিন (শুক্রবার) সকাল ৭টায় নবীনগর এলাকার জনৈক মুরগী ব্যবসায়ী চাঁন বাদশা লিমনের মৃতদেহ কল্যান্দী পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পড়ে থাকতে দেখে বাড়িতে খবর দিলে স্বজনরা ছুটে এসে তার লাশ শনাক্ত করে। এর আগে মাত্র ১সপ্তাহের ব্যবধানে আলীনগরে পাষন্ড স্বামীর হাতে রিপা বেগম(৪০) নামে ২ সন্তানের জননী এবং মদনগঞ্জ শান্তিনগর এলাকায় মাদক সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের প্রহার খুন হয় লিখন(৩৫) নামে আরো এক ব্যাক্তি। একের পর এক খুনের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় গোটা বন্দর জুড়ে আতংক বিরাজ করছে। আইন শৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ।