নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
ভাষা সৈনিক ও রত্নাগর্ভা মা নাগিনা জোহার আত্মার মাগফেরাত কামনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে ৪ দিনের কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে।
যার মধ্যে ১০ মার্চ বৃহস্পতিবার বাদ আছর খানপুর হাসপাতালের সামনে মিলাদ মাহফিল, ১১ মার্চ শুক্রবার বাদ আছর বন্দর সমরক্ষেত্র মাঠ, ১২ মার্চ বাদ আছর ফতুল্লা ডিআইটি মাঠ এবং ১৩মার্চ সিদ্ধিরগঞ্জের নাভানা সিটিতে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে ছেলে সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ও সংসদ সদস্য শামীম ওসমান সবাইকে দোয়ায় উপস্থিত হয়ে মরহুমার আত্মার কামনা করতে বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।
মরহুমা নাগিনা জোহা সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও প্রয়াত সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের মা। সেই সাথে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য, ভাষা সৈনিক ও স্বাধীনতা(মরোনত্তর) পদক প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবন্ধুর অন্যতম সহচর সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শামসুজ্জোহার সহধর্মিনী ছিলেন।
উল্লেখ্য নাগিনা জোহা ১৯৩৫ সালে অবিভক্ত বাংলার বর্ধমান জেলার কাশেম নগরে জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁদের পরিবারের পূর্বপুরুষদের নামানুসারে গ্রামটির নামকরণ করা হয়। বাবা আবুল হাসনাত ছিলেন সমাজ হিতৈষী ও কাশেম নগরের জমিদার। তিনি শিল্প-সংস্কৃতির পৃষ্ঠ পোষকতায় বিশেষ সুনাম অর্জন করেন। নাগিনা জোহার বড় চাচা আবুল কাশেমের ছেলে আবুল হাশিম ছিলেন অবিভক্ত ভারতবর্ষের মুসলীম লীগের সেক্রেটারি ও এমএলএ। চাচাতো ভাই মাহবুব জাহেদী ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের সদস্য ছিলেন। ভাগ্নে পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্ট নেতা সৈয়দ মনসুর হাবিবুল্লাহ রাজ্য সভার স্পিকার ছিলেন। নাগিনা জোহা ১৯৫০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদালয়ের অধীনে মেট্টিক পাস করেন। ১৯৫১ সালে নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবারের সন্তান রাজনীতিবিদ এ কে এম শামছুজ্জোহার সঙ্গে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। স্বামীর বাড়িতে নতুন বউ হিসেবে এসেই ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। তাঁর শ্বশুর তৎকালীন এমএলএ খান সাহেব ওসমান আলীর চাষাঢ়ার বাড়ি ‘বায়তুল আমান’ ছিল আন্দোলন সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দু।