নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পাইনাদী টিসি রোড এলাকার কূখ্যাত ডাকাত মোক্তার ও তার ভাই মাদক সম্্রাট দেলোয়ারকে গ্রেফতার অভিযান চালাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে থানা পুলিশ। ডাকাত মোক্তার পুলিশের চোখে মুখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে বল্লম দিয়ে পুলিশকে আঘাত করলে ৪ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এর মধ্যে ৩ জন কনস্টেল ১ জন কর্মকর্তা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে অভিযানের নেতৃত্বদানকারী এসআই সাখাওয়াত এক রাউন্ড গুলি করলে দেলোয়ার গুলি বিদ্ধ হয়। তখন ডাকাত মোক্তার পালিয়ে গেলে পুলিশের গুলিতে আহত মাদক সম্্রাট দেলোয়ারকে (৩২) গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২ টায় এ ঘটনা ঘটে।আহত ৪ পুলিশ সদস্য ও ধৃত দেলোয়ারকে পুলিশ হেফাজতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে,মিজমিজি পাইনাদী এলাকার ইমানআলীর ছেলে দু,ডজন মামলার আসামি ডাকাত মোক্তার ও তার ছোট ভাই মাদক সম্্রাট দেলোয়ার মিলে বড় ভাই আবদুল লতিফকে গতকাল ভোরে দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় লতিফ থানায় গিয়ে ছোট দু,ভাইকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাখাওয়াত হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে ডাকাত মোক্তার ও দেলোয়ারকে গ্রেফতার করতে তাদের বাড়ীতে অভিযান চালায়। তখন ডাকাত মোক্তার ও দেলোয়ার পুলিশের চোখে মুখে মরিচের গুঁড়– ছিটিয়ে বল্লম দিয়ে আঘাত করে। এতে ৪ কনস্টেবল ইকবাল হোসেন,জাহাঙ্গীর আলম,মজিবুর রহমান ও দারোগা সাখাওয়াত আহত হয়।পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এসআই সাখাওয়াত শর্টগান দিয়ে এক রাউন্ড গুলি করে। পুলিশের এ গুলিতে মাদক সম্্রাট দেলোয়ার আহত হয়। তখন ডাকাত মোক্তার পালিয়ে গেলেও পুলিশ দেলোয়ারকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য পুলিশ হেফাজতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।আহত ৪ পুলিশ সদস্যও একই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এ বিষয়ে এসআই সাখাওয়াতের সাথে কথা হলে তিনি জানান,বড় ভাই আবদুল লতিফের দায়ের করা মামলায় ডাকাত মোক্তার ও তার ভাই দেলোয়ারকে গ্রেফতার করতে বাড়ীতে অভিযান চালাই। তখন তারা দু,ভাই মিলে আমিসহ সঙ্গীয় ফোর্সদের চোখে মুখে মরিচের গুঁড়– ছিটিয়ে বড় ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এতে আমি ও আরো ৩ জন কনস্টেবল আহত হলে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এক রাউন্ড গুলি করতে বাধ্য হই। গুলি করার পর ডাকাত মোক্তার কৌশলে পালিয়ে গেলেও গুলি বিদ্ধ মাসক ব্যবসায়ী দেলোয়ারকে গ্রেফতার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। এসআই সাখাওয়াত আরো জানায়,মোক্তার ও দেলোয়ার দু,ভাইয়ের বিরুদ্ধেই একাধিক মামলা রয়েছে। মোক্তারের বিরুদ্ধে মামলা সংসখ্যা ২০/২৫ টি হবে। ডাকাত মোক্তারকেও গ্রেফতার করার জোর চেষ্টা চলছে বলে সাখাওয়াত জানান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,মোক্তার ও দেলোয়ার ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। ডাকাতির পাশাপাশি দেলোয়ার এলাকায় মাদক ব্যবসাও পরিচালনা করছে।মোক্তারের নেতৃত্বে একটি ডাকাত দল গড়ে উঠেছে। ফলে ভয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের অপকর্মের প্রতিবাদ করার সাহস পায়না।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানায়,যারা পুলিশের উপর হামলা করে আহত করতে পারে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের মত সাধারণ মানুষ কথা বললে কি করবে তা এ ঘটনা থেকেই বুঝা যায়।