নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের কঠোর নজরধারী থাকা সত্তেও শিমরাইল মোড়ে উচ্ছেদকৃত সরকারি জায়গা দখল করে ভাড়া বাণিজ্য করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কয়েকটি মার্কেট মালিক। পুলিশ বার বার নিষেধ করলেও এসব প্রভাবশালী মার্কেট মালিকরা ফুটপাতে দোকান বসাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বিকেলে এসআই শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ হাজী আহসান উল্লাহ সপার মার্কেট,নেকবর আলী সুপার মার্কেট,চম্পক সুপার মার্কেট,কাস্সাফ শপিং কমপ্লেক্স,হাজী বদর উদ্দিন সুপার মার্কেট ও চাঁন সুপার মার্কেটের সামনে সরকারি জায়গায় বসানো ফুটপাত দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়েছে। কিছু দিন আগে জেলা পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে এসব মার্কেটসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দু’পাশে গড়ে তুলা সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল। উচ্ছেদকৃত এ সরকারি জায়গা যেন আবার বেদখল না হয়,সে জন্য থানা পুলিশ কঠোর নজরধারী করে চলেছে। তার পরও সরকারি জায়গা দখলকারী প্রভাবশালী মার্কেট মালিকরা তাদের পকেট ভারি করতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দৈনিক ভাড়া আদায় করে দোকানপাট বসাচ্ছে। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে,ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মার্কেট মালিক ও একশ্রেণীর রাজনৈতিক দলের নেতারা ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়ে দৈনিক ১ থেকে ৩‘শ টাকা ভাড়ায় দোকানপাট বসায়। পুলিশ দোকানপাট উচ্ছেদ করে দেওয়ার পর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের অগ্রিম টাকা ফেরত চাইলে মার্কেট মালিকরা তাদের সরকারি জায়গায় বসার শেল্টার দিচ্ছে।তাই পুলিশ সকালে উচ্ছেদ করলে বিকেলে আবার দোকান বসায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয়রা ক্ষোভের সাথে জানায়,ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বার বার উচ্ছেদ করে ক্ষতিগ্রহস্থ করলেও সরকারি জায়গা দখল ও ভাড়া আদায়কারীদের পুলিশ কিছুই করছেনা। যে কারণে সরকারি জমি দখল মুক্ত রাখতে পুলিশের হিমশিম খেতে হচ্ছে।তাই এসব গরীব ব্যবসায়ীদের ক্ষতিগ্রস্থ না করে জমি দখল ও ভাড়া আদায়কারী প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করলে সহজেই সরকারি জায়গায় দখলমুক্ত রাখা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।