নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর ইউনিয়স্থ সুখেরটেক এলাকায় অসহায় এক বৃদ্ধ কৃষকের পানি সেচ ব্লকের স্থাপনা ভাংচুর ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে নগদ অর্থ সহ পানির পাম্প লুটপাটের অভিযোগে ১. সুরুজ মিয়া (ওরফে বিড়ি সুরুজ), পিতাঃ মৃত আফিজ উদ্দিন, সাং-চাঁনপুর, ২. রফিজ উদ্দিন, পিতাঃ মৃত মুল্লুক চাঁন, সাং-ফুলহর, ৩. সালাউদ্দিন, পিতাঃ আঃ সালাম, সাং-মুরাদপুর, ৪. নুর আলম, পিতাঃ মোঃ ইনতাজ, সাং-মুরাদপুর, ৫. জয়নাল, সাং-নেহাল সরদার বাগ, ৬. নবী, পিতাঃ মৃত শাহাবউদ্দিন, সাং-চাঁনপুর বন্দর না’গঞ্জের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার সোনারগাঁও থানায় উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নস্থ চাঁনপুর গ্রামের ভূক্তভোগী বিল্লাল হোসেন (৬২)। নির্ভরযোগ্য সূত্র মারফত ও থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ভূক্তভোগী বিল্লাল হোসেনের সাথে কথা বললে ঘটনার বিবরণে তিনি জানান ‘বুধবার সকাল ১০ টায় নাজিমউদ্দিন ভূঁইয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীতে সুখেরটেক গামী রাস্তার পাশে ও সোনারগাঁও থানার আন্দিরপাড় গ্রামের দক্ষিণ পাশে বিলে প্রায় ২ বছর যাবৎ অত্র ব্লকের নিকটবর্তী প্রায় ২৫ কানি জমিতে আমি পানি সেচ দিয়ে যাচ্ছি। আমার পানি সেচের সহায়তায় অত্র ২৫টি জমির মালিকরা ইরি ধানের চাষ সহ বিভিন্ন শাক-সবজির চাষাবাদ করে থাকে। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ অত্র অঞ্চলের একটি প্রভাবশালী মহল উক্ত জমিগুলো অল্পদামে ক্রয়ের লক্ষ্যে এই পানি সেচ ব্লক বন্ধের পায়তারা করে আসছিল। কারণ পানি সেচ বন্ধ করতে পারলে জমিগুলো কোন কাজে লাগবেনা, তখন বাধ্য হয়ে কৃষকরা প্রভাবশালীদের কাছে জায়গা বিক্রি করবে, আর এই লক্ষ্যে বুধবার সকালে বিবাদী সুরুজ মিয়া (ওরফে বিড়ি সুরুজ) এর নির্দেশে ও তার পরিকল্পনায় অন্যান্য বিবাদীগণ আমার ব্লকে লোহার রড ও লাঠিসোঠা সহ দেশীয় বিভিন্ন অ¯্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উপস্থিত হয় এবং কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা আমার ব্লক ঘর ভাংচুর করে। ব্লকে থাকা টিউবওয়েল ও পাম্প মেশিন জোরপূর্বক নিয়ে যায়, তখন আমি মৌখিক প্রতিবাদ করলে তাদের হাতে থাকা লোহার রড ও লাঠিসোঠা দিয়ে আমাকে মারত্মকভাবে জখম করে, এমনকি মেশিনের তৈল ও শ্রমিকদের কাজের টাকা দেবার জন্য রাখা আমার পকেট থেকে ৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমি শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে চিৎকার শুরু করলে তা শুনে আশেপাশের লোকজন আমাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসে, তখন বিবাদীরা আমাকে সুযোগ মত পেলে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। স্থানীয় লোকজন আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় এবং একটু সুস্থতা বোধ করার পর স্থানীয় সকলের পরামর্শে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি’।
এ বিষয়টি এলাকায় যথেষ্ট মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে এবং অত্র অঞ্চলের মানুষ এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত অপরাধীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে অসহায় কৃষকের সামান্য আয়ের উৎস পানির পাম্প উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিতে ও কৃষি জমিতে নিরবিচ্ছিন্ন চাষাবাদ অব্যাহত রাখতে সোনারগাঁও থানার (ওসি) শাহ মঞ্জুর কাদের পিপিএম সহ না’গঞ্জ জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান মিয়ার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।