নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
আমাদের দেশে অতি পরিচিত একটি দেশাত্ববোধক গান রয়েছে যেটি কারোই অজানা নয়। যার দ্বিতীয় কলিতে বলা হয়েছে এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি সকল দেশের রানী সে-যে আমার জন্মভূমি,সে-যে আমার জন্মভূমি। নারায়ণগঞ্জের জনপ্রিয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব একেএম সেলিম ওসমানকে নিয়ে সেই গানের সুর ধরেই বলতে হয় এমন এমপি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি সকল এমপি’র সেরা সে-যে মোদের এমপি সেলিম। সেলিম ওসমান এমন একজন এমপি যাকে নিয়ে গর্ব করা যায়,বিরোধ নয়। সেলিম ওসমানের ক্ষমতা গ্রহণের প্রায় ১বছরে যা উন্নয়ন হয়েছে স্বাধীনতা যুদ্ধের এই ৪৫ বছরেও তা কেউ করতে পারেনি। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে,ইতোমধ্যে সেলিম ওসমান বন্দরের ৫টি ইউনিয়নের উন্নয়নের জন্য প্রায় ৫০ কোটির মতো অনুদান প্রদান করেছেন। এছাড়া বন্দর ১নং খেয়াঘাট নিয়েতো লিখেই শেষ করা যাবেনা। এই ঘাটটি টোল ফ্রি করায় সেলিম ওসমান সবচাইতে দোয়ার কাজ করেছেন। প্রতিদিন লাখ লাখ যাত্রী সাধারণ স্বস্তিতে পারপার হতে পারে তার জন্য প্রাণভরে দোয়া করে থাকেন। কারো কারো মতে,বন্দর ১নং খেয়াঘাট ফ্রি করে দেয়া মানেই হাজারটা উন্নয়নের সমান। কারণ,আগে এই ঘাটে যাতায়াতে মানুষকে অনেক দুর্ভোগ ও ভোগান্তির শিকার হতে হতো। টোল নিয়ে প্রতিদিনই এই ঘাটে ইজারাদার আর পাবলিকের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনা লেগেই থাকতো। ঘাটের দূরবস্থার কারণে সে সময় অহরহ নৌ-দূর্ঘটনা ঘটে অগণিত লোকের প্রাণহানিরও ঘটনা ঘটতো। এমনকি নৌকার মাঝি ও যাত্রীদের সঙ্গেও প্রতিদিন হাতাহাতি-মারামারি হতো। সাংসদ সেলিম ওসমান বিষয়টি উপলদ্ধি করে বন্দরবাসী’র স্বার্থে ব্যাক্তিগতভাবে ভর্তুকী দিয়ে হলও তিনি ঘাটটি সম্পূর্ণ টোল ফ্রি করে দেন। যা সত্যিকার অথেই ইতিহাসের পাতায় বিরল হয়ে থাকবে। সেলিম ওসমান শিশুদেরকে প্রচন্ড রকমের ভালবাসেন। তার মধ্যে একটা শিশুতোষ ভাব রয়েছে। যে কারণে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেলেই সবার আগে তিনি শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান। শিশুদের ভালবাসে সবাই তবে সাংসদ সেলিম ওসমান শিশুদেরকে যেভাবে ভালবাসেন সেটাকে নিখাঁদ ভালবাসা বলে। যেই ভালবাসা চির অমলিন। তার এই ভালবাসার কারণে তাকে এখন বলা হয় শিশুতোষ এমপি। এমন শিশুতোষ এমপি পৃথিবীর বুকে মেলা দায়। শিশুতোষ মনোভাবের ফলে এ যাবত যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই তার পদচারনা হয়েছে সেই প্রতিষ্ঠানের শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য তার উপহার চমক কিংবা অনুদান দিয়েছেনই। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য দুপুরের খাবারের প্যাকেট হতে শুরু করে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী এমনকি কৌতুক কিংবা গান পরিবেশণ অথবা ভাল উপস্থাপনার জন্যও তিনি মঞ্চে মঞ্চে সারপ্রাইজ দিয়ে থাকেন। একাত্তুরের বীর সৈনিকদের নিয়েও সেলিম ওসমান অনেক ভাবেন। সেই কারণেই তিনি বন্দরের মুক্তিযুদ্ধের সমরক্ষেত্রে একের পর এক ব্যায়বহুল অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যাচ্ছেন। বিজয় দিবসে দেশ সেরা ফোঁক শিল্পী মমতাজ এমপি’কে এনে গান করিয়ে সেলিম ওসমান অনেক আলোচিত হয়ে ওঠেন। হাজার হাজার নারী-পুরুষ সেইদিন সমবেত হয়েছিল এই মমতাজের গান দেখার জন্য। এর আগে বিভিন্ন অসুস্থদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান করেন তাদের চিকিৎসার জন্য। সেলিম ওসমান অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারেন নারায়ণগঞ্জ শহরের লঞ্চ টার্মিণাল সংলগ্ন সরকারি ভূমিটি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য উদ্ধার করেই প্রমাণ করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা পেলে তিনি আরো অনেক কিছু করবেন তা প্রতিনিয়তই তিনি বলে থাকেন। বিশেষ করে বন্দরের সমরক্ষেত্রে ১০তলা বিশিষ্ট একটি কমপ্লেক্স করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সেখানে অডিটরিয়াম হতে শুরু করে বিভিন্ন মার্কেট প্ল্রেস এমনকি বিনোদন কেন্দ্রেরও ব্যবস্থাপনার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘাট সংলগ্ন ময়মনসিংহপট্রির ৫৮জন ভূমিহীণকেও পূর্ণবাসনের জন্য সাংসদ পরিবার প্রতি ৫২হাজার করে টাকা অনুদান দিয়ে মহত্বের পরিচয় দিয়েছেন। সর্বোপরি বিকেএমইএ’র মাধম্যে ৫শ’নারীকে উদ্যোক্তা হিসেবে সেলাই মেশিন ও নগদ ৫ হাজার করে টাকা দিয়ে সেলিম ওসমান নিজের এমপিত্বের শ্রেষ্ঠতা বজায় রেখেছেন। তিনি মহান তিনি বাংলাদেশের অদ্বিতীয় এমপি সেটা বারবার প্রমাণ করে চলেছেন। এদিকে নবীগঞ্জের কদমরসুল কলেজকে আন্তজার্তিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা তিনি ইতোমধ্যে হাতে নিয়েছেন। সম্প্রতি ওই কলেজের রজত জয়ন্তী ও নবীনবরণ উৎসবে দেয়া এক প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষিতেই সাংসদ সেটি বাস্তবায়নের জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। যার লক্ষ্যে গত সপ্তাহের এটির নিচু ভরাট কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়ে গেছে। প্রাথমিক অবস্থায় কলেজের ৮ তলা একাডেমীক ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। একাডেমীক ভবন নির্মাণে ব্যায় ধরা হয়েছে ১ কোটি টাকা। যার মধ্যে কোটি টাকা ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে নেয়া হবে এবং অবশিষ্ট কোটি টাকা সেলিম ওসমান নিজেই বহণ করবেন। সর্বশেষ মুক্তিযুদ্ধের সমরক্ষেত্রে ভাষা সৈনিকদের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের মাধ্যমে আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবসের ব্যাপক আয়োজন করে দেশপ্রেম মানুষের হৃদয়ের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন। তার এই অনবদ্য সহয়তা সদর-বন্দরবাসীকে যেন চিরঋৃণী করে তুলছে। আর তাইতো সদর-বন্দরের মানুষ বাংলা গানের সেই সুর ধরেই এখন বলতে বাধ্য হচ্ছে……. এমন এমপি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি সকল এমপি’র সেরা সে-যে মোদের এমপি সেলিম।