স্টাফ রিপোর্টার,বিজয় বার্তা ২৪
মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাক আহমেদের ভূমিকা তদন্ত করে তাদের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবে আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাক মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করেছিল। তারা চেয়েছিল, কনফেডারেশন গঠন করে পাকিস্তানকে টিকিয়ে রাখতে। মুক্তিযুদ্ধে তাদের ভূমিকা কী ছিল, তা কমিশন গঠন করে তা তদন্ত করে তাদের মরণোত্তর বিচার করা উচিৎ। জিয়াউর রহমান সেই সেক্টর কমান্ডার, যিনি তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধের চিফ অফ কমান্ড এম এ জি ওসমানীর উপস্থিতিতে এক সভায় বলেছিলেন, আমরা রাজনৈতিক সরকারের অধীনে যুদ্ধ করব না।’
মুক্তযুদ্ধচলাকালীন জিয়াউর রহমানকে দুই বার বরখাস্ত করা হয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন আ ক ম মোজাম্মেল হক।
জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুহত্যার বিচার বন্ধ করার জন্য ইনডেমনিটি দিয়েছিল। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের চাকরি দিয়েছিল। যুদ্ধাপরাধী শাহ আজিজ, আবদুল আলিমকে মন্ত্রী বানিয়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আরো বলেন, ‘জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় কিছু কবর আছে। এই কবরগুলোর মধ্যে যুদ্ধাপরাধীদের কবরও আছে। পাকিস্তানের সহযোগী হিসেবে কাজ করা জিয়াউর রহমানের কবরও আছে।
এজন্য জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা যথাযথভাবে সংরক্ষণের জন্য এ অবাঞ্ছিত করবগুলো সরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাই।’
তিনি আরো বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে। শুধু বিচার করলেই হবে না। তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে।তাদের সন্তানরা যাতে নির্বাচন করতে না পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের সন্তানরা যাতে সরকারি চাকরি না পায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ, যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের সরকারি দায়িত্ব দেওয়া যায় না।’
পাশাপাশি জামায়াতকে যুদ্ধাপরাধীদের দল আখ্যায়িত করে তাদের নিষিদ্ধ করারও আহ্বান জানান তিনি।