নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
বন্দরে কিশোরী বয়সে বিয়ে হওয়া গৃহবধূ সাদিয়া আক্তার (১৪)কে যৌতুকের দাবিতে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে পাষন্ড স্বামী ও শ্বশুরবাড়ি লোকজন। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে থানার রূপালী আবাসিক এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে হত্যাকারীরা গৃহবধূর’র মৃতদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে ঘাতকিনী শ্বাশুড়ী শাহানাজ ওরফে ঝিনুক বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে নিহতের পিতা মনির হোসেন বাদী হয়ে বুধবার সকালে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং ২৭(০২)১৬ইং। মামলায় উল্লেখ করা হয়,বন্দর সালেহনগর এলাকার সোবহান মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া মনির হোসেনের কিশোরী মেয়ে সাদিয়াকে বিগত ৩মাস পূর্বে পার্শ্ববর্তী রূপালী গেইট এলাকার মৃত আক্তার হোসেন ওরফে কাইল্লা মিয়ার ছেলে সফিক ওরফে কানা সফিকের সঙ্গে সামাজিকভাবে বিয়ে দেয়। বিয়ের সময় মেয়ের সুখের বিষয়টি চিন্তা করে তারা জামাতার দাবি অনুযায়ী ৭৫ হাজার টাকা যৌতুক প্রদান করে। এর ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার স্বামী সফিককে আরো ৫ হাজার টাকা দেয়া হয়। তাতেও তারা সন্তোষ্ট না হওয়ায় গৃহবধূকে যৌতুকের জন্য ফের চাপ দেয়। সাদিয়া টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পাষন্ড স্বামী রফিক,তার মা শাহানাজ ওরফে ঝিনুক বেগম,ভাই আরিফ,রফিক এবং রফিকের স্ত্রী শাহানাজ ওরফে রিতা মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টায় সাদিয়াকে বেদম মারপিট ও শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে সাদিয়ার স্বামী সফিক নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে নিহত সাদিয়া স্বজনরা হাসপাতালে ছুটে যায়। পুলিশ নিহতের মরদের উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। এ ব্যাপারে সাদিয়ার পিতা পিতা মনির হোসেন বাদী হয়ে সাদিয়ার স্বামী,শাশুড়ী,২ দেবর ও জা’কে আসামী করে বুধবার সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সংশোধনী)০৩এর ১১(ক)/৩৪ ধারায় বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।