স্টাফ রিপোর্টার,বিজয় বার্তা
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা নাইকো দুর্নীতি মামলার প্রধান আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বুধবার আদালতে যাবেন না।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি আদালতে যাবেন না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।
সানাউল্লাহ মিয়া জানান, এ মামলায় হাইকোর্টে বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার রিট খারিজের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিচারাধীন রয়েছে। আর তিনি সুস্থও নন। এ কারণে আদালতে তার পক্ষে সময় আবেদন করা হবে।
মামলাটিতে আগামীকাল খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ ধার্য রয়েছে। মামলাটি ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ মো. আমিনুল ইসলামের আদালতে বিচারাধীন।
এর আগে এই মামলায় ৩১ নভেম্বর বিচারিক আদালতে হাইকোটের নির্দেশ অনুযায়ী আত্মসমর্পণ করে জামিনের প্রার্থণা করলে খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন।
চার্জশিটের বৈধতা চ্যলেঞ্জ করে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে রীট আবেদন করলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। গত বছর ১৮ জুন হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন।
উল্লেখ্য, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ অভিযোগে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়। ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
২০০৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর এ মামলায় স্থায়ী জামিন পান বেগম জিয়া। নাইকোকে কাজ দিয়ে রাষ্ট্রের ক্ষতি করার অভিযোগে খালেদার প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও একই দিনে আরেকটি মামলা করেছিল দুদক।
আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর ২০১০ সালের মার্চে হাইকোর্ট ওই মামলা বাতিল করে দেয়।
মামলাটিতে খালেদা জিয়া ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন চার দলীয় জোট সরকারের আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম) এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।