নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
বন্দর আকস্মিক অগ্নিকান্ডে একটি মার্কেটের হোসিয়ারী,হোটেল,রেন্ট-এ-কারের অফিস.মুদী,ডেকোরেটর ও মোবাইল ফোনের দোকান কমপক্ষে ১০টি ঘর ভস্মীভূত হয়েছে। এতে উল্লেখিত দোকান ঘরের মালামালসহ প্রায় অর্ধকোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। গতকাল শনিবার ভোরে থানার মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়কের বন্দর রেল লাইন এলাকার শাহিন মিয়ার মার্কেটে এ ঘটনাটি ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বন্দর ফায়ার সার্ভিসের দু’টি দমকল ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রায় ঘন্টাখানেক প্রাণপণ প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। বৈদ্যুতিক মিটারের তার হতে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত বলে দমকল সূত্র জানিয়েছে। এদিকে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল,বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম,নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহাম্মদ ভূইয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন। এ সময় তারা ক্ষতিগ্রস্থদের সমবেদনা জানান। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়,বন্দর (সাবেক রেললাইন)বাসষ্ট্যান্ড এলাকার শাহিন মার্কেটের দোকানীরা শুক্রবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যায়। শনিবার ভোর সাড়ে ৬টায় মার্কেট মালিক শাহিনের মিটারের লিকেজ তার হতে স্পার্ক হয়। একাধিকবার স্পার্কের এক পর্যায়ে গোটা তারে আগুন ধরে যায়। এর কিছুক্ষণ পর জনৈক পথচারী আগুন আগুন বলে চিৎকার করলে আশ পাশের লোকজন জড়ো তা নিবৃত্তের চেষ্টা চালালেও ততক্ষণে আগুণের তীব্রতা বেড়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী বাবুলের রেন্ট-এ কারের দোকান ও রনির হোসিয়ারী পর্যায়ক্রমে আল আমিনের তেলের দোকানে ছড়িয়ে যায়। খবর পেয়ে বন্দর ফায়ার সার্ভিসের দু’টি দমকল ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে প্রায় ঘন্টাখানেক প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এরই মধ্যে ডেমরা ফায়ার সার্ভিসের আরো একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে হাজির হলেও তার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। সরেজমিনে পরিদর্শণে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী অগ্নিকান্ডে রেন্ট-এ-কার ব্যবসায়ী বাবুল মিয়ার ফার্নিচার ও যন্ত্রাংশসহ ২লাখ টাকার মালামাল,শাহিনের ডেকোরেটর গুদামের চেয়ার,টেবিল কাপড় ও অন্যান্য সরঞ্জামাদিসহ ৫ লাখ টাকার মালামাল,শামীমের মোবাইল বিক্রি ও সার্ভিসিং এবং কম্পিউটার ও নগদ টাকাসহ ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল,আল আমিনের নগদ দেড়লাখ টাকা ও তেল-মবিলসহ ২ লক্ষাধিক টাকার,দেলোয়ারের কম্পিউটারের দোকানের ৩লাখ টাকা,করিম মিয়ার ভাতের হোটেলের অর্ধলক্ষ টাকা,আবুল বাশারের বুশরা টেলিকমের ২লাখ টাকা,মাসুদ রানা রনি’র হোসিয়ারীর রেডিমেড পোশাক ও জুট মালসহ আড়াইলাখ টাকার,শফিউল্লাহর মুদী দোকানের গোডাউনের ৬লাখ টাকার মালামাল ভস্মীভূত হয়।