সাইফুদ্দিন আহমেদ মোক্তার,নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কামারগাঁও এলাকায় ২টি শিল্পকারখানা চৌতি ও ফ্রেশ কোম্পানীর বালু ভরাটের টাকা ভাগ ভাটোয়ারার ও অংশিদারের টাকাকে কেন্দ্র করে বন্ধুদের সাথে বিরোধ মিমাংশার কথা বলে , পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে ছাত্রলীগ নেতা রায়হান প্রধানকে হত্যা করেছে দাবি পরিবারের ।
এ ঘটনায় গত ২৮জানুয়ারী তারিখে ঢাকা শাহবাগ থানায় সোহাগ রনি ও ২৯জানুয়ারী নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় নিহতের ছোট ভাই ইমরান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হলেও এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করছেন না পুলিশ দাবি পরিবার ও এলকাবাসীর ।
এলাকাবাসী জানান, সোনারগাঁ পৌরসভার টিপরদী চৈতি কম্পোজিটের সামনে সামছুউদ্দিন মার্কেটে ২য় তলায় জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের অফিসে গত বৃহস্পতিবার দেড়টার দিকে চৈতি ও ফ্রেশ কোম্পানীর বালু ভরাট কাজের টাকার ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে বন্ধুদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক হয়। তর্কবির্তকের একপর্যায়ে সংঘর্ষের জড়িয়ে পড়েন মামলা আসামী মোহনসহ তার সাথে থাকা ৫-৮ জন বন্ধু ও নিহত রায়হান। বন্ধুদের ঝগড়া এবং পূর্বের কোন্দলের কারনেই কাল হয়ে দাড়ায়। সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মী রায়হান প্রধানকে নির্মমভাবে চাইনিজ কোড়াল দিয়ে হত্যা করে।
নাম অনীহা প্রকাশ করে একাদিক সূত্রে জানা যায়, মেঘনা গ্রুপের সিমানা র্নিধারিত বাউন্ডারী ঠিকাদার রনি, আলমগীর, আলআমিন, পূর্বে কাজ করতো কিন্তু পরর্বতীতে ঠিকাদারীর কাজ নিহত রায়হান পাওয়ার কথা ছিল, এমনটাই একাদিক গোপন সূত্রে জানা যায়। এনিয়ে মেঘনা গ্রুপের বালুর মাঠে বন্ধুদের মধ্যে মৌখিক র্তকবির্তক হয় হত্যারকান্ডের ২ দিন পূর্বে বলে একটি গোপন সূত্রে জানা যায়।
পরবর্ততে এনিয়ে উভয়ের মধ্যে সমঝোতার কথা বলে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন সোনারগাঁ উপজেলা শাখা অফিসে নিহত রায়হানকে ডেকে নিয়ে তারই বন্ধুও মামলার আসামী আলাল । এরই মধ্যে আসামী আলালের একটি ফোনআলাপের রেকডিং সোনারগাঁ থানা পুলিশের হাতে মামলার বাদী জমা দিলেও এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করছেন না পুলিশ।
মামলার বাদী ইমরান জানান, ওই ফোনআলাপের মধ্যে স্পষ্ট ভাবে আসামী আলাল ভীত ভাবে বলছে রায়হান হত্যা সংঘঠিত মূহুর্তের সময় রনি, আলমগীর, আলআমিন, মোহনসহ ৭-৮ জন মিলে রায়হানের উপর হামলা চালায় ।
এ পরিস্থিতি দেখে আলাল বলেন , আমি মোহনের উপর ঝাপিয়ে পরি এবং ছোরা দিয়ে মোহনকে আঘাত করার চেষ্ঠা করি, কিন্তু ঠিক ওই মূহুর্তে মোহনের সাথে থাকা ৭-৮ জন বন্ধু আমাকে ধরে নিয়ে গিয়ে বাহিরে মারধর করতে থাকে। আলাল আরো বলেন এক পর্যায়ে আমি রায়হানের বাচাও বাচাও আত্বচিৎকার শুনতে পাই, এক পর্যায়ে সে অচেতন হয়ে পড়ে । এদিকে সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ মো: মঞ্জুর কাদের পিপিএম কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার সময় আলালের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন রায়হান প্রধান। মূমুর্ষ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হলে সেখানে বিকেল ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রায়হান প্রধান মৃত্যূ বরন করেন। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে নিহতের ছোট ভাই ইমরান হোসেন বাদী হয়ে ২ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অপর দিকে মামলার বাদী নিহতের ছোট ভাই ইমরান সাংবাদিককে জানান, হত্যাকান্ডের জড়িত ২জনের বিরুদ্ধে আমি মামলা করলেও, কাউকে গ্রেফতার নেই। নিহত রায়হান মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামের আব্দুস সোবহান প্রধানের ছেলে।
নিহতের পরিবার আরো জানান ,মামলা দায়েরের পর হত্যাকান্ডে জরিত আসামীরা প্রকাশ্যে পরিবারটিকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে, বিষয়টি নিয়ে পরিবার শংকিত । পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পরিবারটির দাবি মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রকৃত আসামীদের তালিকাভুক্ত করে শাস্তির ব্যবস্থা করা।