বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, উপর থেকে যে নির্দেশনা আসবে এলাকায় এলাকায় নেমে আমরা মাদক-সন্ত্রাস বন্ধ করবো। পুলিশ না করলে থানা ঘেরাও করবো। সোজা বাংলা কথা ইন্টুস-মিন্টুস চলবেনা। আমি নিজে মাঠে নামবো। আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি মাদক ছাড়ব না। যে যেই দল করুক না কেন আমি কিছু কেয়ার করি না। মামলা খাইলে আমি খাব দরকার পরে হাতে পায়ে গুলি করে দিব। যা হয় হবে ইনশাআল্লাহ মাদক বেচতে দিমুনা।
তিনি আরো বলেন, মাদক বিক্রি করে টাকা কামাইয়া নেতা গিরি করবা, পত্রিকার নাম দিয়া মাদক বেচবা, ভাল মানুষের সাইনবোর্ড লাগাইবা, কে করতাছে না করতাছে আমি যেমন জানি পুলিশও জানে। নারায়নগঞ্জে ম্যাক্সিমাম পুলিশ অফিসার ভাল কিছু অফিসার আছে এগুলোর সাথে কানেকটেড। একটা জিনিস মনে রাখবেন এই এলাকায় এমপি আমি না হলেও আমি কিন্তু নারায়নগঞ্জের এমপি এবং আমার নাম শামীম ওসমান। আমি কথা বললে একজনের সাথে বুঝি সে হল আমার মা শেখ হাসিনার সাথে। সব ব্যাপারে ছাড় দিবো, পিছন দিয়ে কোপ দিবেন দেন, গুলি করবেন মারার লেইগা,মারেন মাপ চাইবেন মাপ কইরা দিব। মাদক-সন্ত্রাস ছাড়বোনা।
২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ বিরোধী সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে বুধবার সন্ধায় বন্দর থানা আওয়ামীলীগ কর্তৃক বন্দরের মুক্তিযুদ্ধের সমরক্ষেত্রে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধাণ অতিথি’র বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান আরো বলেন, আমরা দেখবো কার মধ্যে কি সমস্যা। টোটালটা ভিডিও করা হবে। আমি বিশ্বাস করি এই এলাকার আওয়ামীলীগের যতজন ক্যান্ডিডেট আছেন ছেলে এবং মেয়ে সবক’টাই পাশ করবে ইনশাল্লাহ। কি করতে হবে পরে বুঝবো। তবে এক থাকতে হবে সবাইকে। কেউ যদি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে কোন জায়গায় লাইন দেয়ার চেষ্টা করেন লাইন থাকবে কালেকশান থাকবেনা। যা কিছু আওয়ামীলীগ করবে আওয়ামীলীগের সিদ্ধান্তে চলবে। আওয়ামীলীগ পরজীবি দল না যে মাইনসের উপর দিয়া চলে আওয়ামীলীগ নিজের পায়ে চলে। আওয়ামীলীগের কর্মীর অভাব নাই। আওয়ামীলীগের কর্মী টাকার কাছে নেতা বিক্রি হয় কিন্তু কর্মী বিক্রি হয়না। আর আমি আওয়ামীলীগের কর্মী।
বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রশীদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নূরুল ইসলাম চৌধুরী,বন্দর থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ আবেদ হোসেন,সাংস্কৃতিক সম্পাদক তথা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর,সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর তথা নারায়ণগঞ্জ মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইসরাত জাহান খান স্মৃতি,ধামগড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তথা ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ¦ সিরাজুল ইসলাম,২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ¦ মোহাম্মদ হোসেন নূর,২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনু,২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহাম্মদ দুলাল প্রধাণ,নারী কাউন্সিলর শাহী ইফাত জাহান মায়া,কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ দেলোয়ার হোসেন প্রধাণ,ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মাসুম আহমেদ ও মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ এম এ সালাম। নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদ হুমায়ূর কবির মৃধা ও বন্দর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফের সঞ্চালনায় এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুসাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান,বন্দর পৌর আওয়ামীলীগ নেতা তথা ২২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী কাজী শহীদ আহাম্মদ,পৌর আওয়ামীলীগ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা জালালউদ্দিন জালু,বনদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার কাজী নাছির আহম্মেদ,সাংস্কৃতিক কমান্ডার খোরশেদ আলম খসরু,বন্দর থানা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক রাফিয়ান আহমেদ,বন্দর থানা যুবলীগের সভাপতি এড.হাবিব আল মুজাহিদ পলু,কদমরসুল পৌর যুবলীগের সভাপতি হাজী সামাদ,সাধারণ সম্পাদক কাজী জাহিরুল ইসলাম,বন্দর থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শেখ কামাল,সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদ,যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান কমল,২১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা খোরশেদ আলম,আলী আজহার তৌফিক,যুবলীগ নেত মনিরুজ্জামান খোকন,শোয়েব মোহাম্মদ লিটন প্রমুখ।