বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জে পূজামন্ডব পরিদর্শনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সংসদ সদস্যর উপস্থিতিতে দুই গ্রুপের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করা হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া এলাকায় ঘটে এ ঘটনা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, নাওড়া এলাকায় ৪টি স্পটে দূর্গা পূজার আয়োজন করেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। রাত ১০টার দিকে নাওড়া পূর্বপাড়া পূজামন্ডব পরিদর্শন করতে যান স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক)সহ দলীয় কর্মী সমর্থকরা। এসময় কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিকুল ইসলামও ওই পূজা মন্ডব পরিদর্শনের উপলক্ষে পূজামন্ডবের গেইটে যান। এসময় প্রতিপক্ষ ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন ও তার লোকজন চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিককে পূজামন্ডবে প্রবেশ করতে বাঁধা প্রদান করেন।
এ নিয়ে মোশারফ হোসেনসহ তার লোকজনের সঙ্গে চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিকের লোকজনের বাকবিতন্ডা হয়। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মোশারফ হোসেনসহ তার লোকজন চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিকের লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় রফিকুল ইসলাম রফিকের লোকজনও পাল্টা হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষ ধারালো অস্ত্রসহ বিভিন্ন অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করা হয়। এসময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পূজামন্ডবে আসা হিন্দু সম্প্রদায়েরের লোকজন ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে ছুটাছুটি করে পূজামন্ডব এলাকা ত্যাগ করে চলে যান। এ অবস্থায় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক) উভয় পক্ষের সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করেন। পরে ব্যর্থ হলে স্থানীয় লোকজন সংসদ সদস্যকে ঘটনাস্থল থেকে অন্যত্র সরিয়ে দেন এবং সংসদ সদস্য তার নেতাকর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। খবর পেয়ে বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থল পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
এ দিকে, চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক অভিযোগ করে বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসী মোশারফ হোসেন মোশাসহ তার লোকজন পরিকল্পিত ভাবে এ হামলা চালিয়েছে। তিনি সন্ত্রাসী মোশারফ হোসেন মোশাসহ হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবি করেন।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।