বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
সিদ্ধিরগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং থানায় হাজির হওয়ার জন্য মৃত দু’ব্যক্তির নামে নোটিশ প্রদান করেছেন থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই জসিম উদ্দিন। মৃত ব্যক্তিরা হলো- সোহেল ও রিপন। সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানী নগর এলাকার সিদ্ধিরগঞ্জ মৌজার ১৪২নং দাগের ৪৯ শতাংশ জমির বিষয়ে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ নোটিশ প্রদান করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার একটি জিডির (নং-১৩৬০,তাং ২৯/৯/২০১৬ইং) সূত্র ধরে এসআই জসিম উদ্দিন জমির মালিক উল্লেখ্য করে জুয়েল, সোহেল, রিপন, মিজানুর রহমান, মিনার হোসেন ও হাফিজুর রহমানের নামে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নোটিশ প্রদান করেন। যাদের মধ্যে বহু পূর্বেই সোহেল ও রিপন মৃত্যবরণ করেন। সোহেল ১৯৮৮ সালে ১৪ বছর বয়সে পানিতে ডুবে ও ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর রিপন মারা যায়। তাদের দুইজনকে জীবিত উল্লেখ করে নোটিশ প্রদান করা হয়। সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী মধ্যপাড়া স্কুল রোড এলাকার আব্দুল জলিল নামে এক ব্যক্তি সোহেল ও রিপনকে জীবিত উল্লেখ করে মিথ্যা ও ভুল তথ্য প্রদান করেন পুলিশের কাছে। কিন্তু সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই যাচাই-বাছাই না করেই নোটিশ প্রদান করেন।
নোটিশ প্রাপ্তদের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই জসিম উদ্দিনের দফতরে সোমবার রাতে উপস্থিত থাকার জন্য মৌখিকভাবে জানানো হয়। কিন্তু সোমবার রাতে ৬ ব্যক্তির মধ্যে ৪ ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। বাকী দুজন উপস্থিত না হওয়ায় সোহেল ও রিপনের মৃত্যুর বিষয়টি ফাঁস হয়। বহু পূর্বেই সোহেল ও রিপন মারা যাওয়ার বিষয়টি উপস্থিত লোকজন পুলিশকে অবহিত করলে খোদ নোটিশ দাতা থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই জসিম উদ্দিনও হতবাক হয়ে যান।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই জসিম উদ্দিন নোটিশ দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী মধ্যপাড়া স্কুল রোড এলাকার আব্দুল জলিলের দায়ের করা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে জিডির প্রেক্ষিতে এ নোটিশ দিয়েছি। উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নোটিশ দিয়েছি। নোটিশে বলেছি আদালতের মাধ্যমে সমাধান করেন। মৌখিকভাবে থানায় হাজির হতে বলা হয়েছে। তবে জিডিতে অভিযোগকারী আমাকে জানায়নি যে সোহেল ও রিপন মারা গেছেন। পরে এ বিষয়টি আমি জানতে পেরে ওই ব্যক্তিকে শাসিয়েছি।