বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ এক এম শামীম ওসমান বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা বলতে গিয়ে শামীম ওসমান বলেন যদি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতেন তাহলে এই দেশ আমেরিকা ও সিঙ্গাপুরের চেয়েও উন্নত মানের দেশ হিসাবে গড়ে তোলা হতো। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তার কোন ক্ষতি হয় নাই, ক্ষতি হয়েছে এদেশের মানুষের। ১৯৯৮ সালে আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বন্যার্তদের সাহায্য সহযোগিতা করতে কুমিল্লা চান্দিনা যাওয়ার সময় এক বৃদ্ধ মহিলা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখে হাসি দেন এবং পরে তিনি ঐ বৃদ্ধ মহিলার বুকে মাথা দিয়ে তাকে জড়িয়ে পড়েন।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাব প্রাঙ্গণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক এর উদ্যোগে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান মিঞা এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক, মূখ্য আলোচক নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ প্রশাসক মো. আবদুল হাই।
শামীম ওসমান আরো বলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাস করলে তিনি বলেন আমি যখন ঐ বৃদ্ধ মহিলার বুকে মাথা রেখে তাকে জড়িয়ে ধরলাম তখন আমি যে আমার মায়ের বুকে মাথা রেখেছি আর যখন ছোট ছোট ছেলে মেয়ে বাচ্চা গুলো আমাকে হাসিনা হাসিনা বলে ডাকে তখন ওদের মাঝে আমার ছোট ভাই শেখ রাসেলকে খুজে পাই। এই যে মানুষের প্রতি শেখ হাসিনার ভালবাসা তা আমি তার কাছ থেকে শিখেছি। বাংলাদেশ আজ উন্নতি দিকে এগিয়ে যাচ্ছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে।
তিনি আরো বলেন, আগামী দশ বছর যদি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকার এদেশে ক্ষমতায় থাকে তাহলে এদেশ আমেরিকা, সিঙ্গাপুর সহ অন্যান্য দেশের চেয়ে উন্নত বিশ্বের রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠবে। আর যদি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই সরকার ক্ষমতায় না থাকে তাহলে এই দেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্থানে রুপান্তরিত হবে। তাহলে এদেশের মানুষ ঠিক করবে এদেশকে পাকিস্তান ও আফগানিস্থান বানাবে না জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে শেখ হাসিনার উদ্যোগে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য কাজ করতে হবে।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন ড. আশুতোষ দাস, জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি ) শাহিন আরা বেগম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) গাউছুল আজম, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আকতার চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জ জজ কোর্টের পিপি এড. ওয়াজেদ আলী খোকন, ফতুল্লা এসিল্যান্ড নাহিদা বারিক, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক শিরীন বেগম, মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি বাবু চন্দন শীল, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ মোঃ নিজাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সিদ্ধিরগঞ্জ খানা যুবলীগের সভাপতি মতিউর রহমান মতি, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এনামুল আহমেদ নিপু প্রমুখ ।
সভাপতিত্বে বক্তব্যে আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, আমি যখন কুমিল্লা চাকরি করতাম ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাথে গাড়ি দিয়ে যাওয়ার সময়ে তিনি রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়ে এক বস্তির ভিতরে প্রবেশ করেন প্রচন্ড কাঁদা মাটির মধ্য দিয়ে গিয়ে তিনি এক বৃদ্ধ মহিলাকে জড়িয়ে ধরে পড়েন । তিনি সবাই কে শেখ মুজিবুররহমান আত্মকাহিনী পড়ার জন্য অনুরোধ করেন। সবাই আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ করি কিন্তু সবাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মকাহিনী জানেন না । ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান বিভক্ত হবার পর ২৪ বছর পাকিস্তান শাসন করেন এর মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমান ১৩ বছর কারা ভোগ করেন সেই সময়ে তিনি তার আত্মকাহিনী লিখেছেন। এই দেশ ছিল পূর্ব পাকিস্তান তা বাংলাদেশ করার মূল্য হল শেখ মুজিবুর রহমান। তাই আগামী প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের ইতিহাস ও শেখ মুজিবুর রহমান অবদান কি তা বলতে ও শিখাতে হবে ।