বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছিরের কাছে তার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
আগামী সাত দিনের মধ্যে তাকে অভিযোগের বিষয়ে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাকে (আ জ ম নাছির) ব্যাখ্যা দিতে হবে। হি মাস্ট এক্সপ্লেইন, পরিষ্কার কথা।’
বুধবার চট্টগ্রামের এক সভায় আ জ ম নাছির অভিযোগ করেন, ‘দাবি অনুযায়ী সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের ঘুষ দিলে যেখানে ৩০০ থেকে ৩৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া যেত, সেখানে তা না দেওয়ায় বরাদ্দ হয়েছে মাত্র ৮০ কোটি টাকা।’
আব্দুল মালেক সাংবাদিকদের জানান, সম্প্রতি চট্টগ্রামের মেয়র অভিযোগ করেছেন সচিবালয়ের একজন কর্মকর্তা তার কাছে ঘুষ ও গাড়ি চেয়েছেন। তার এই অভিযোগ বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা চেয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। বিশেষ করে সচিবালয়ের কোন কর্মকর্তা তার কাছে ঘুষ এবং গাড়ি চেয়েছেন, তাকে তা স্পষ্ট করে জানাতে হবে।
এ দিকে সচিবালয়ের ওই সভায় চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছিরও উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে বের হওয়ার সময় তার অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শিগগিরই তিনি তার অবস্থান পরিষ্কার করবেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, অভিযোগ যে কেউই করতে পারেন। তবে তা প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায় না, আর ব্যবস্থা নেওয়াটা ঠিকও না।
তিনি আরো বলেন, ‘যেহেতু তিনি অভিযোগ করেছেন, তাই সেভাবেই মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। যদি তদন্তে প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ অভিযোগটি গুরুতর।’
বুধবার চট্টগ্রামে একটি অনুষ্ঠানে মেয়র বলেছিলেন, ‘নগরের উন্নয়নের জন্য আমার চেষ্টা ও আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। কিন্তু এখানে অনেকের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমাকে বলা হলো কর্পোরেশনের জন্য যত টাকা চাই, দেওয়া হবে থোক বরাদ্দ হিসেবে। তবে তার জন্য ৫ শতাংশ করে দিতে হবে। আমি বললাম- এই টাকা কোথায় পাব? বললেন, ঠিকাদারের কাছ থেকে ম্যানেজ করেন।’
মেয়র আরো বলেন, ‘তখন আমি বললাম- এটা পত্রিকায় নিউজ হবে না? ঠিকাদারও তো আমাকে চোর ভাববে, আমি কীভাবে নেব? কেন নেব? আমি কি এটা লিখে দিতে পারব যে- মন্ত্রণালয়ে দিতে হবে এই জন্য ৫ শতাংশ করে টাকা কাটব? তখন বলে যে- না, এটা বলা যাবে না। আপনি ম্যানেজ করেন। আমি বললাম, না এটা পারব না। বলল, তাহলে হবে না।’
আ জ ম নাছির বলেন, ‘এ কারণে আমি শুধু ৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেলাম। যদি ৫ শতাংশ করে দিতে পারতাম, তাহলে ৩০০ থেকে ৩৫০ কোটি টাকা আনতে পারতাম।’