বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে পুলিশের ধাওয়ায় পানিতে ডুবে পান ব্যবসায়ীর মৃত্যু ও পরে গণপিটুনীতে পুলিশ কনস্টেবল মৃত্যুর ঘটনার সাত দিন পর ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী বাদী হয়ে পুলিশকে আসামী করে মামলা করেছে। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম এর আদালতে ওই মামলাটি দায়ের করেন নিহত আবদুল মতিনের স্ত্রী নূরতাজ বেগম।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন জানান, মামলার অভিযোগে বলা হয় নূরতাজ বেগম ও তার স্বামী আবদুল মতিন বাড়ির পাশের একটি স্তুপ থেকে খড় আনতে যায়। তখন মটরসাইকেলে করে আসা দুইজন ব্যক্তি মতিনকে ধাক্কা দেয়। এর প্রতিবাদ করায় ফখরুল ইসলামের (মটরসাইকেলে থাকা এএসআই) নির্দেশে আরিফুল ইসলাম আরিফ (কনস্টেবল) পাশের জলাশয়ে মতিনকে চুবিয়ে হত্যা করে। মঙ্গলবার ওই ঘটনায় শুনানী শেষে আদালত অভিযোগটি আমলে নেয়। যেহেতু ওই ঘটনায় একজন পুলিশের কনস্টেবলও মারা গেছে সেহেতু আদালত সোনারগাঁও থানার ওসিকে মামলার ও তদন্তের অগ্রগতি আগামী ৩ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে জমা দিতে বলেছেন। ওই প্রতিবেদনের পর নূরতাজ বেগমের মামলার কার্য্যক্রম শুরু হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩ আগষ্ট সোনারগাঁও পৌরসভার রাইজদিয়া এলাকাতে পুলিশের ধাওয়ায় পানিতে ডুবে এক আব্দুল মতিন নামে এক পান ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে আরিফুল ইসলাম আরিফ নামে এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়। এ ঘটনার পরদিন ৪ আগস্ট থানা পুলিশের সহকারী পরিদর্শক (এস আই) আলামিন তালুকদার বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনকে আসামী করে মামলা করেছে। ওইদিন ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির প্রধান হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মতিয়ার রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) ফোরকান শিকদার ও জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক (তদন্ত) মামুনুর রশিদ মন্ডল।