বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বন্দরে ডক শ্রমিক ফয়সাল হত্যাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানব বন্ধন করেছে নবীগঞ্জ এলাকাবাসী। শুক্রবার বাদ জুম্মা নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের বাসষ্ট্যান্ড চৌরাস্তার মোড়ে এ মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। নিহত ফয়সালের চাচা নাজির হোসনের সভাপতিত্বে মানব বন্ধনে অংশ নেন বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল ও বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এহসান উদ্দিন আহমেদ। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিপটি মেম্বার,মুক্তিযোদ্ধা তাজ মোহাম্মদ,হাজী নাছির,মোঃ মাজহারুল ইসলাম পাবেল,মোঃ জয় হাসান,মোঃ জামাল,মোঃ কাউছার,মাওলানা মহিউদ্দিন,মাওলানা বদরউদ্দিন,মোঃ সাঈদ,মোঃ বাপ্পি,মোঃ জামাল,মোঃ নাজির,মোঃ ছালে আহাম্মদ প্রমূখ। মানববন্ধনপূর্বক সমাবেশে আতাউর রহমান মুকুল বলেন,ডক শ্রমিক ফয়সাল হত্যা মামলা নিয়ে পুলিশ অনেক আন্তরিক। আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে। প্রশাসনের প্রতি জোরদাবি থাকবে যাতে করে প্রকৃত হত্যাকারীরা ফয়সাল হত্যার সঠিক শাস্তি ভোগ করে সে বিষয়টি খেয়াল রাখবেন। এহসানউদ্দিন আহম্মেদ বলেন,মানববন্ধন বড় কথা নয় আইনী প্রক্রিয়ায় আমাদেরকে এগোতে হবে। পুলিশকে আসামীদের ব্যাপারে তথ্য দিতে হবে। ূত্র মতে,নবীগঞ্জ টি হোসেন গার্ডেন সংলগ্নবর্তী শান্তিবাগ এলাকার আব্দুর রশীদ মিয়ার ছেলে ডকইয়ার্ড শ্রমিক ফয়সালের সঙ্গে নবীগঞ্জ কামালউদ্দিন মোড় এলাকার মনির হোসেনের বখাটে পুত্র সাজেনের সম্প্রতি ঈদ আনন্দ মেলা নিয়ে বিরোধ ছিল। শুক্রবার ওই বিরোধের জের ধরে সাজেন মোবাইল ফোনে তাকে বাড়ি থেকে নেয়। এরপর পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে সাজেন,তার বন্ধু রিয়াদ,ফয়সাল(১),ফয়সাল(২),হাকিম,আদর ও জাহিদসহ তাদের অন্যান্য সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে ফয়সালের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। ফয়সাল কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলাকারীরা প্রথমে তার ডান পায়ের উরুতে কোপ দেয়। এরপর এলোপাথাড়িভাবে তাকে কোপাতে থাকলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। প্রাণে বাঁচতে ফয়সালও তাদের হাতে থাকা অস্ত্র কেড়ে নিয়ে হামলকারীদের কয়েকজনকে কোপায়। পরে অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণের ফলে অবস্থা বেগতিক বুঝে ফয়সাল ঘটনাস্থল হতে বাঁচার জন্য দৌড় দিয়ে তাদের বাড়ির অদূরবর্তী টি হোসেন গার্ডেনের সামনে এসে চিৎকার করলে আশ পাশের লোকজন তাকে দ্রুত ধরাধরি করে প্রথমে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে ১০জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। ওই মামলার পর পরই পুলিশ সাদ্দাম(১৮) নামে এক তরুনকে গ্রেফতার করলেও মূল হত্যাকারী তানজিল,সাজেন,ফয়সাল(১),ফয়সাল(২) রিয়াদ,হাকিম,আদর ও জাহিদকে অদ্যাবধি গ্রেফতার করতে পারেনি। মানববন্ধনে শত শত নারী-পুরুষ অংশ নেয়।