বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বিতর্কিত শিক্ষানীতি ২০১০-এর আলোকে বাংলাদেশের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যে প্রণীত নতুন সর্বনাশা সিলেবাস প্রমাণ করে এ শিক্ষানীতির মতলব জঘন্য। এ শিক্ষানীতি বাংলাদেশকে ধ্বংসের শিক্ষানীতি। এ শিক্ষানীতি বাংলাদেশ থেকে ইসলাম ও মুসলমানশূন্য করার রণকৌশল। এতএব, এ শিক্ষানীতি কোন দেশপ্রেমিক ঈমানদার মুসলমান মেনে নিতে পারে না। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের উদ্যোগে আজ শুক্রবার বিকাল ৫ টায় ডি.আই.টি চত্বরে মুফতী মুহা. মাসুম বিল্লাহ’র সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মুহা. সুলতান মাহমুদ-এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিতর্কিত শিক্ষানীতি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল পূর্বক সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, নারায়ণগঞ্জ জেলার আহবায়ক আলহাজ¦ কাজী সেকান্দার আলী, সদস্য সচিব মাওলানা মুহা. শেখ সাদী, নারায়ণগঞ্জ শহর শাখার সভাপতি আলহাজ¦ আব্দুল হাই, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সভাপতি মুহা. বিল্লাল হোসাইন, বন্দর থানার সভাপতি মুহা. নূর হোসেন, ফতুল্লা থানার সভাপতি, মাও. আনোয়ার হোসেন জিহাদী, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন, নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মুহা. ওমর ফারুক, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন, নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মুহা. মোতাহার হোসেন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন, নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুহা. শাহাদাত হোসেন, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সদস্য সচিব মাও. মুহা. আব্দুল হান্নান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। প্রধান অতিথি আরও বলেন, সরকার এই জঘন্য শিক্ষানীতির আলোকে তৈরি জাতীয় শিক্ষাআইন পাস করার উদ্যোগ নিয়েছে। এ শিক্ষানীতি ও শিক্ষাআইন বাস্তবায়িত হলে আমাদের স্বাধীন জাতিসত্ত্বা বিপন্ন হবে। আমাদের স্বকীয়তা ও স্বাতন্ত্র্য সময়ের ব্যবধানে বিদায় নিবে। আমাদের তৌহিদবাদী মুসলিম সমাজ পৌত্তলিক ও নাস্তিক্যবাদী সমাজে পরিণত হবে। তাই আসুন এ শিক্ষানীতি বাতিলের দাবিতে চরমোনাই পীর সাহেব হুজুরের আহবানে সকল কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করি। জেলা আহবায়ক কাজী সেকান্দার বলেন, বিতর্কিত শিক্ষানীতি ও প্রস্তাবিত শিক্ষাআইন বাস্তবায়িত হলে আমাদের জাতীয় শিক্ষা বিপথগামী হওয়ার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থারও বিলুপ্তি ঘটবে। কারণ, প্রস্তাবিত শিক্ষাআইনের ১১নং ধারায় ২নং উপধারায় বলা হয়েছে, “নিবন্ধন ব্যতিত কোন অবস্থাতেই কোন বেসরকারি বিদ্যালয় বা মাদরাসা স্থাপন ও পরিচালনা করা যাইবে না।” সভাপতির বক্তব্যে মুফতী মাসুম বিল্লাহ বলেন, অনুসন্ধানে দেখা গেছে, প্রথম শ্রেণি থেকে একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা পাঠ্য বইয়ে মোট গদ্য ও পদ্যের সংখ্যা ১৯৩টি। এর মধ্যে হিন্দু লেখকের সংখ্যা ৮১, যাদের বেশির ভাগই ভারতীয় এবং নাস্তিক্যবাদী লেখকের সংখ্যা ৫০ জনেরও বেশি। সব মিলিয়ে বাংলা পাঠ্য বইয়ের ৭০ ভাগেরও বেশি লেখক হিন্দু ও নাস্তিক। সমাবেশ শেষে ডি.আই.টি থেকে প্রেস ক্লাব পর্যন্ত সুদীর্ঘ মিছিলের পর মুনাজাতের মাধ্যমে প্রোগ্রাম শেষ হয়।