বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
ফতুল্লা লামাপাড়া নয়ামাটি এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী. মাদকের ডিলার, ভুমিদস্যু ও বহু অপকর্মের হোতা মৃত আম্বর আলীর ছেলে আবদুর রশিদ মিথুন র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর এলাকাবাসী সাধারন মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করে আনন্দে মিষ্টি বিতরন করেন। এ সময় এলাকাবাসীর দাবি মিথুনকে রিমান্ডে ভালভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে নিজেই তার অপকর্মের কাহিনী প্রকাশ করবে। এ ছাড়াও তারা মিথুনের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি ও সহযোগীদের গ্রেফতারে দাবী করেন।
লামাপাড়া এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মিথুন গ্রেফতার হলেও তার বাকী সহযোগিরা রয়েছে বহাল তবিয়তে। তাদের মধ্যে অন্যতম মৃত আসন আলীর ছেলে মাদক স¤্রাট রফেদ আলী, সিরাজউদ্দিনের ছেলে মামুন ওরফে কাইল্লা মামুন, পলক আলীর ছেলে রুবেল, পিয়ার আলীর ছেলে বিল্লাল, সাব্বির, স্বপন এখনও ধরাছোয়ার বাহিরে রয়েছে। মিথুন গ্রেফতার হওয়ার পর এলাকাতে যারা মিষ্টি বিতরন ও আনন্দ মিছিল করেছিল তাদেরকে প্রান নাশের হুমকী ও এলাকাতে না থাকার হুমকী প্রদান অব্যাহত রেখেছে মিথুনের সহযোগিরা। ওই কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক পরিমান মামলা রয়েছে।
মিথুন ও তার সহযোগীদের অপকর্ম ও মামলা মোকদ্দমা : গত ২রা আগষ্ট শিবু মার্কেট এলাকার সুমাইয়া বিরিয়ানী হাউজের সামনে থেকে অস্ত্র,মাদক ও মাদক বিক্রির টাকাসহ ৪ সহযোগিসহ মিথুনকে গ্রেফতার করে র্যাব। এ বিষয়ে মিথুনের বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র মামলা যার নং ৯ (২/৮/১৬ইং) এবং একটি মাদক মাদক মামলা যার নং ৮ (২/৮/১৬ইং) দায়ের করা হয়। লামাপাড়া এলাকার চিহিৃত এ সন্ত্রাসীর বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপে অতিষ্ঠ পুরো এলাকাবাসি। এ দিকে র্যাবের হাতে গ্রেফতারকৃত মিথুনকে ইতিমধ্যে দু’দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
এর আগে সন্ত্রাসী, মাদক স¤্রাট ও ভুমিদস্যু মিথুনের সহযোগি সেলিমের মাদকের দুর্গে হামলা চালিয়ে ২০১৪ সালের ২৮ নভেম্বর থানা পুলিশ ৪শত বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক করেছিল। সে সময় মিথুনও অল্পের জন্য বেচে গিয়েছিলো পুলিশের হাত থেকে। যা পরের দিন স্থানীয় পত্রিকা ডান্ডিবার্তায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।২০১৪ সালের ৩রা মার্চ মিথুনের অপর সহযোগি মাদক ব্যবসায়ী রফেদ আলী ২শত পিস ইয়াবাসহ ডিবি এসআই নুরে আলমের হাতে গ্রেফতার হয়।২০০৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বও ৪৪ পিস ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার হয় রফেদ আলী যা ফতুল্লা থানায় একটি মামলা হয় যার নং ৬৭। ২০১৪ সালের ২৪ আগষ্ট ফতুল্লা থানার উপপরিদর্শক মো. জিন্নাহকে পিটিয়ে রফেদ আলীকে ছিরিয়ে নেয় দুর্ধর্ষ এ সন্ত্রাসী মিথুন সে বিষয়ের সংবাদটি জাতীয় পত্রিকা সমকালে বড় আকারে প্রকাশিত হয়েছিল। মিথুনের অপর সহযোগি মামুন ওরফে কাইল্লা মামুনের বিরুদ্ধে একই এলাকার পুইক্কার ছেলে চুন্নুর অপহরনের মামলা রয়েছে যে মামলা ৬ নং আসামী মামুন মিথুনের সাথে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়। এছাড়াও মাছ ব্যবসায়ী মাসুদ রানা অপহরনেরও ৪ নং আসামী মামুন। এছাড়াও সন্ত্রাসী মিথুনের বিরুদ্ধে যে সমস্ত মামলা গুলো ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় রয়েছে তার মধ্যে চুন্নু অপহরনের মামলা যার নং ১৪(৫/৮/১৪ইং), মাছ ব্যবসায়ী মাসুদ রানা অপহরনের মামলা যার নং ৪৫( ১৪/৮/১৫ইং),আল আমিন হত্যা মামলা যার নং ৬২০/২০০৪ইং,মমতাজ বেগম হত্যা মামলা যার নং৪ (২/৮/২০০৪ইং), ব্যবসায়ী হান্নান অপহরন মামলা যার নং ৪৭(১৬/৭/১৩ইং), জাকির হোসেন জুয়েলকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট মামলা যার নং ৭১(২৩/৮/১৪ইং), সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মাদক মামলা নং ৩১, মোসা.আয়েশা বেগম নামে জনৈক মহিলা কর্তৃক নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা নং ঢাকা মেট্রোপলিটন বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়াল মেজিষ্ট্রেট আদালত(০২)অঞ্চল সিআর ৭২৩/২০১৩, শিরিনা বেগম নামে জনৈক মহিলা তার জমি দখলের অভিযোগে পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ করেন ২০১৫ সালের ১৯ মার্চ উল্লেখযোগ্য।
গত ২ আগষ্ট গ্রেফতারের পর এলাকাবাসী চিহ্নিত মাদক স¤্রাট, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও ভুমিদস্যু আবদুর রশিদ মিথুনের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করে র্যাব ১১’কে সাধুবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতেও এসব অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দেয়ার অনুরোধ করেন।