বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীর নতুন বাজার এলাকায় গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের ঘটনাটি আপোষ-মিমাংশা করতে সর্বত্মাক চেষ্টা চালাচ্ছে একটি চক্র। ওই চক্রের সদস্য ঘাড়বেকা শাহিন, তুহিন ওরফে ফেন্সী তুহিন, টিটুগংরা বুধবার রাতে সুমিলাপাড়া রেললাইন এলাকায় যুবলীগের অফিসে যায়। অফিসে গিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি মতিউর রহমান মতির কাছে বিষয়টি মিমাংশা করে দিতে বলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মিমাংশার কথা শুনে উত্তেজিত হয়ে উঠে যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান। তিনি গালমন্দ করে তাদের অফিস থেকে বের করে দেন। এরআগে এই চক্রটির শেল্টারদাতা সোনামিয়া বাজার বনিক সমিতির সভাপতিক সাইদুল হক ঘটনাটি ধামচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায়। গত মঙ্গলবার নতুন বাজারের ব্যবসায়ি নেতা মন্টুকে সাথে নিয়ে সাইদুল হক ধর্ষণের ঘটনাটি আপোষ মিমাংশার জন্য বৈঠকে বসে। তারা অন্তসত্তা ধর্ষিতাকে ১৫০০০ হাজার টাকা দিয়ে বলে পেটের বাচ্চা ফেলে দেয়ার জন্য। কিন্তু ধর্ষনের শিকার ওই গৃহপরিচারিকা তাদের কথায় রাজি হয়নি।
জানা গেছে, নতুনবাজার (আবেদ আলী লেন) এলাকার ব্যবসায়ি নাজমুল গত মাসে তার বাসার কাজের মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে মেয়েটি অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর সোনামিয়া বাজার বনিক সমিতির সভাপতি সাইদুল হক, নতুন বাজার ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি মন্টু তাদের চেলা চামন্ডা ঘাড়বেকা শাহিন, ফেন্সি তুহিন, টিটু, মানিক গংরা মাঠে ঘটনাটি ধামচাপা দিতে।
নতুন বাজার এলাবাসীর কয়েকজন জানায়, আদমজী শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাতক দর্জি সেলিমের বোন জামাই শরিফ সোনামিয়া বাজার বনিক সমিতির সভাপতি সাইদুলের সাথে চলাফেরা করে। ধর্ষক নাজমুল শরীফের আত্মীয়। ফলে সাইদুল মাঠে নামে নাজমুলের পক্ষে। এতে অসহায় হয়ে পড়েছে ধর্ষিতা ও তার পরিবার।