বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
সিদ্ধিরগঞ্জে আদালতের আদেশ অবমামনা করে সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে প্রকাশে দিবা লোকে একটি জমি দখলের চেষ্টায় সাইনবোর্ড ও তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসী মোতালিব-জলিল গং বাহিনী। এ নিয়ে ওই জমিতে অবস্থিত একটি চুনা কারখানার শ্রমিক ও বসতিরা প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসী মোতালিব বাহিনী তাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় তারা ওই জমিতে অবস্থিত আরেকটি প্লাষ্টিক কারখানায় ঢুকে শ্রমকিদের মারধোর করে ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চুন কারখানার ফটকে মোতালিব-জলিল গংদের সাটানো সাইবোর্ড ও তালা খুলে দেয়। পরে উপস্থিত সকলকে আদালতের আদেশ পালন করতে বলেন। অন্যথায় আদালতের আদেশ অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে আইনহত ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানান। এ নিয়ে এলাকায় গত শুক্রবার থেকে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষই সংর্ঘষ হতে পারে বলে এলাকাবাসী আংশকা করছে।
জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জ আটি মৌজায় সি.এস খতিয়ান নং ১৮৮ দাগ নং ৫৩১,৫৩২ পরিমান ২০ শতাংশ জমি মুনসুর আলী কাছ থেকে ১৯৫৫ সালের অক্টোবর মাসে ক্রয় করে আব্দুল খালেক। দীর্ঘদিন ভোগদখলের পর ওই জায়গায় কারখানা ও বসত বাড়ি করেন তিনি। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে মুনসুর আলীগং থেকে সি.এস খতিয়ান নং ১৮৮ দাগ নং ৫৩১,৫৩২ পরিমান ৮১.৫০ শতাংশ জমি ক্রয় করে মহিউদ্দিন আহমেদ চুনা কারখানাসহ কয়েকটি কারখানা গড়ে তুলেন । কিন্তু মোতালিব-জলির গংরা একটি ওয়ারিশ সার্টিফিকেট তৈরি করে ২০১০ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিজ্ঞ প্রথম জেলা আদালতে একটি দেওয়ানি মামলা করেন পুরো সম্পতির উপর যার নং- ২৫/১০। পরে দীর্ঘ ৫ বছর পর ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে আদলতে মোতালিব-জলির গংরা মিথ্যা তথ্য দিয়ে ওই জমি তাদের দখলে আছে বলে ৭ দিনের একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করে। আদালত আঃ খালেক ও মহিউদ্দিন আহমেদ গং দের ওয়াশিদের বিরুদ্ধে জমির প্রকৃত কাগজ পত্র হাজির করতে বলে। পরে আঃ খালেক ও মহিউদ্দিন আহমেদ গংদের ওয়ারিশ গংরা জমির প্রকৃত কাগজ পত্র আদালতে দাখিল করলে ২০১৫ সালের জানুয়ারী মাসের দেয়া অস্থায়ী আদেশ বাতিল করেন আদালত। পরে বিজ্ঞ আদলত আদেশের বিরুদ্ধে মোতালিব গংরা জেলা জজ আদালতে ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে মিস আপীল করেন যার নং- ০৬/২০১৫ইং। কিন্তু বিজ্ঞ আদালতে মোতালিব জলির গংরা জমি দখল ও জমির প্রকৃত কাগজ পত্রও আাদলতে দেখাতে পারে নাই। পরে আদালত ওই মিস আপীল খারিজ করে দেন। পরে তারা ফের জেলা আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাই কোর্টে সিভিল রিভিশন নং ৪২৪/২০১৬ দায়ের করেন। মিস আপীল ০৬/২০১৫ ও ০৯/০২/২০১৫ সালের মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাই কোর্টে উক্তি রিভিশন মামলাটি একতরফা শুনানী ক্রমে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে ৬ মাসের জন্য স্থাগিত আদেশ করেন।
আদেশ পাওয়ার পর মোতালিব জলিল গংরা ওই জমিতে থাকা চুনা ও আনারকলি প্যাড এন্ড প্লাষ্টিক রি প্রসেসিং কারকাখানয় হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি করে। এর বিরুদ্ধে মার্চ মাসে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মোতালিবজলিল গংদের বিরুদ্ধে মামলা করেন যার নং ১২/১১৪। পরে আঃ খালেক ও মহিউদ্দিন গংরা এ বছরের ফেব্রুয়ারী মাসের হাই কোর্টে আদেশ ভ্যাকেট শুনাণী করার জন্য ৩মার্চ ভ্যাকেট করেন। এতে মহামান্য হাইকোর্ট আদালতে একই বেঞ্চে বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতের ২০১৫ সালের নভেম্বরের আদেশ স্থগিত করার জন্য সিভিল রিভিশন নং ১৩৪৫/২০১৬ দায়ের করে। পরে শুনানী শেষে মাহামান্য হাইকোর্ট ৩ মে স্থিতি অবস্থার আদেশ দেন। উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে আঃ খালেক ও মহিউদ্দিন গংরা মহামান্য হাইকোর্টে ভ্যাকেট করেন। পরে মোতালিব গংরা পুনরায় মহামান্য হাইহোর্টে জুলাই মাসে সিভিল রিভিশন নং ২২২৫/২০১৬ শুনাণী করিয়া ০৬/২০১৬ ও ২০১৫ সালের নভেম্বর তারিখের আদেশ স্থগিত চেয়ে প্রার্থনা করেন। মাহামান্য হাইকোর্ট বাদি মোতিালিব গং আবেদন অনুসারে মিস আপীল নং ০৬-২০১৫ খারিজ ও ২০১৫ সালের নভেম্বর তারিখের আদেশ ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেন। পরবর্তীতে আদালত উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে ৩১ জুলাই শুনানির দিন ধার্য করে। এর মধ্যেই মোতালিব গংরা ওই জমি ও জমিতে অবস্থিত কারখানাগুলো দখলের উদ্দ্যেশে হামলা চালিয়ে কারখানার ফটকে তারা ঝুলিয়ে দেয়।
উল্লেখ, মোতালিব জলিল গংরা জেলার আড়াইহাজার উপজেলায় খাককান্দা ওগালা কান্দা গফরান বাড়ি থেকে এসেছে। মোতালিব এর বাবার নাম আছমত আলী। আছমত আলীর বাবা নাম হোসেন আলী। হোসেন আলী বাবার নাম ছলুম উদ্দিন বেপারী। ওই আছমত আলী ১৯৩৮ সালে জন্ম গ্রহন করেন। যার জাতিয় পরিচয় পত্র নং- ৬৭১১১১০০১৭৬৭। কিন্তু সিএস রেকর্ড মালিক হোসেন সিএস রেকের্ড এর পূর্বেই মৃত্যু বরন করেন।