বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বন্দরে লাশের মিছিল দীর্ঘ হতে চলেছে। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে পর পর দু’টি হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার আরো ২৪ ঘন্টা অতিক্রম না করতেই আরো একটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে ৭২ ঘন্টার ব্যবধানের ৩টি খুনের ঘটনা সংঘটিত হওয়ার রেকর্ড সৃষ্টি হলো। প্রতিদিন একটি করে খুনের ঘটনা বন্দরের সর্বত্রই আতংকগ্রস্থ করে তুলতে শুরু করছে। এদিকে শনিবার সরেজমিনে পরিদর্শণে গেলে জানা যায়, বিকেল ৫টায় মিরক্ডুী বিবিজোড়া এলাকার নুরুন্নবী মিয়ার বখাটে ছেলে রাসেল লুডু খেলতে নিষেধ করায় একই এলাকার ক্বারী আব্দুল মজিদ মিয়ার পুত্র ফারুক মিয়া(৫২)কে অন্ডকোষে লাথি মেরে হত্যা করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে দ্রুত হাজির হলেও ততক্ষণে হত্যাকারী রাসেল পালাতে সক্ষম হয়। নিহত ফারুক একজন মাছ বিক্রেতা। সে ৩ সন্তানের জনক। প্রত্যক্ষদর্শী দেলোয়ার হোসেন জানান,শনিবার বিকেল ৫টায় সে ফারুক এবং ওই এলাকার নূর হোসেন ও সালাউদ্দিন সকাল থেকেই লুডু খেলা শুরু করে। আধাঘন্টা পর দেলোয়ার ও সালাউদ্দিন খেলা থেকে বিরত থাকে। এ সময় নুরুন্নবীর ছেলে রাসেল টাকা দিয়ে লুডু খেলার নূর হোসেনকে চাপ দেয়। ফারুক রাসেলকে টাকা দিয়ে খেলতে নিষেধ করলে এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্ক হয়। তর্কাতর্কি থেকে হাতাহাতিতে রূপ নিলে এক পর্যায়ে বখাটে রাসেল ক্ষিপ্ত হয়ে ফারুকের অন্ডকোষে সজোরে লাথি মারে। এতে সঙ্গে সঙ্গে ফারুক মাটিতে লুটিয়ে কাতরাতে থাকে। এ সময় উপস্থিত লোকজন ফারুক মিয়াকে ধরাধরি করে মদনপুর ঈশাখাঁ জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়। খবর পেয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল কালাম,বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা দায়ের হয়নি।