বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
স্বাধীনতা বিরোধী সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে আগামী ১৮ তারিখ আয়োজিত ছাত্রলীগের সমাবেশ স্মরণকালের সেরা ছাত্র সমাবেশ হবে বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একে এম শামীম ওসমান। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে শহরের রাইফেল ক্লাবে আয়োজিত এক কর্মী সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, যারা জঙ্গী, মূলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করতে চায় । যারা বংলাদেশকে পিছন দিকে নিতে চায় সেই সমস্ত অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য এই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অনুষ্ঠান হাতে নিয়েছে। নারায়ণগঞ্জের এই ছাত্র সমাবেশ থেকে সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটা ম্যাসেজ দিতে চায় ছাত্রলীগ। যারা আমাদের মানচিত্রে থাবা দিতে চায় ওই শকুনদের হাত থেকে এই বাংলাদেশ রক্ষা করবেন ছাত্র সমাজ। তাদের চিন্তা ধারা দেখে আমরা মুগ্ধ হয়েছি।
তিনি আরো বলেন, আমরা দেখতে চাই শুনতে চাই আমাদের নতুন প্রজম্ম কি করতে পাড়ে। এরা কি সত্যিই কি পাড়বে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার স্বপ্ন পূরন করতে। এই জিনিষটা আমরা দেখতে চাই। আমরা চাই যেটা আমরা পাড়ি নাই সেটা আমার সন্তান যাতে পাড়ে সেভাবে গড়ে তুলতে। ছাত্রলীগ হচ্ছে আমাদের সন্তান সংগঠন। এই সন্তান সংগঠনের সফলতা করা তাদেরকে উৎসাহিত করা এবং তাদেরকে সঠিক পথে প্রদর্শন করা এটা কিন্তু আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আগামী ১৮ তারিখে ওসমানী স্টেডিয়ামে ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ সমাবেশের আয়োজন করেছেন।
তিনি আরো বলেন, আমার কাছে নিজেকে এখনো ছাত্রলীগ ভাবতে ভালই লাগে। আমার এখনো আওয়ামীলীগ হতে ইচ্ছে করেনা। এই একটা জায়গাই সত্যকে সত্য বলে আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলে। দেশের জন্য এই ছাত্রলীগ রক্ত দিয়েছে বারবার। সকল আন্দোল সংগ্রামে এই ছাত্রলীগের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে এই ছাত্রলীগই রাজপথের হাল ধরেছে। আমরা চাই আপনাদের নেতৃত্বে রাজনীতি করতে। আমরা চাই যাতে আগামী ১৮ তারিখ ওসমানী স্টেডিয়ামে স্মরন কালের সেরা সমাবেশ হয়। আমরা আওয়ামীলীগের সকল নেতৃবৃন্দ সেখানে থাকবো। আমরা দেখতে চাই ছাত্রলীগ কতটুকু স্মার্ট। আগামীতে আমরা আরেকটা পদক্ষেপ নিবো ১৮ তারিখ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ দিয়ে সেটা ঘোষনা করিয়ে দিবো। তিনি আরো বলেন, আমরা দেখতে চাই সুশৃঙ্খল ছাত্রলীগ। আমরা তাদের সেভাবে প্রস্তুত করতে চাই। তারা যেন জাতির পিতার স্বপ্ন ও শেখ হাসিনার স্বপ্ন পূরন করতে পাড়ে। কোন পদপদবীর জন্য রাজনীতি করিনা। আমরা বাংলাদেশের জন্য রাজনীতি করি। শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরনের জন্য রাজনীতি করি।
নেতাকর্মীদের দলে পদ পদবী প্রসঙ্গে শামীম ওসমান বলেন, কর্মীর যে স্বাধীনতা সেই স্বাধীনতা কারো নাই। আমরা যারা আছি নিজেদের কখনো নেতা ভাবি নাই। এখনো ভাবতে চাই না। অনেকে নিজেদের নেতা ভাবেন। কিন্তু পিছনে ডাকলে দশটা লোকও আসেনা। কিন্তু নেতা নিজেকে বড় বড় ভাবেন। নেতা লিখলে নেতা হয়না। মানুষের মনের ভিতর জায়গা করে নিতে হয় তারাই নেতা। পদ পদবী দিয়ে নেতা হয়না। যাদেরকেই আপনারা সামনের দিকে নিয়ে আসবেন সিএস, আরএস, এসএ পর্চা দেইখা নিয়ে আসবেন কিন্তু। এখানে যদি কেউ খাইতে আসে, আমাদের তাকে দরকার নাই। এখানে যে দিতে আসবে আমাদের তাদের দরকার। আমরা যথেষ্ট শক্তিশালি, ইনশাআল্লাহ।’
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু একটা কথা বলে গিয়েছিলেন “সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই” এই ছাত্ররাই কিন্তু সোনার মানুষ। বঙ্গবন্ধুর এই স্বপ্ন পূরনের দায়িত্ব নিয়েছেন জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা। আজকে প্রজম্মকে বুঝানোর জন্য ওনি এটা বলেছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশে গেছি। আর অপরদিকে এটাকে রুখে দেওয়ার জন্য আফগানিস্থান স্টাইল বাংলাদেশ বানানোর জন্য ওই লন্ডন থেকে নির্দেশনায় বাংলাদেশকে এমন কিছু ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিংবা সামনে হবে। যা বাংলাদেশকে বহু পিছন দিকে নিয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে একটা কঠিন পরিস্থিতি চলছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার জন্য বিভিন্ন অপশক্তি মাঠে নেমেছে। তারা বাংলাদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিনত করতে চায়। কিন্তু তারা বাস্তবায়ন করতে পাড়বে না। যারা ব্যর্থ রাষ্ট্র পরিনত করতে চায় তাদেরকে রুখে দাঁড়ানোর প্রথম কাজ ছাত্রলীগের। বাংলাদেশের সকল আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ। তারা নেতৃত্ব দিয়ে আজকে বাংলাদেশকে এই জায়গায় নিয়ে আসছে। এজন্য বঙ্গবন্ধু কিন্তু আওয়ামীলীগের আগে ছাত্রলীগ সৃষ্টি করেছিলো।
সরকারের উন্নয়নের প্রচার প্রসঙ্গে শামীম ওসমান বলেন, এই মাস থেকে আমরা মানুষের ঘরে ঘরে যাবো। মানুষকে বুঝাবো। কেন শেখ হাসিনার সরকার দরকার? শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামীলীগের সম্পদ না। শেখ হাসিনা হলেন আগামীদিনের বাংলাদেশের প্রজম্মের ভবিষ্যৎ। বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে আমরা একশো বছর পিছিয়ে গেছি। একটা ভাঙ্গাচুরা, বিধ্বস্ত শ্বশান দেশকে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধু উন্নয়নশীল দেশে নিয়ে আসছেন। আজকে বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আমরা জাপানের চেয়ে উন্নত রাষ্ট্রে থাকতাম। তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এ দেশকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা সহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।