নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় দুইজন স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা করেছেন আদালত। পরে আগামী ৪ এপ্রিল পরবর্তী স্বাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহিদুল ইসলাম ও নজরুলের সহযোগী শাহজালাল স্বাক্ষ্য প্রদান করেন এবং পরবর্তী তা্রিখ নির্ধারণ করা হয়।
পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী সকাল দশটায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে প্রধান আসামী নূর হোসেন, র্যাবের চাকুরিচ্যুত তিন কর্মকতা লেফটেনেন্ট কর্ণেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন ও লেফটেনেন্ট কমান্ডার এম এম রানাসহ গ্রেফতারকৃত ২৩ আসামীকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে আসামীদের উপস্থিতিতে সকাল সাড়ে দশটা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত আসামীদের উপস্থিতিতে পর্যায়ক্রমে নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম (শহীদ চেয়ারম্যান) ও নজরুলের সহযোগী শাহজালালের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামীপক্ষের আইনজীবিরা তাদের জেরা করেন।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ ৭ জনকে অপহরণের তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। সাত খুনের ঘটনায় নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও তার ৪ সহযোগী হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি এবং সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়ির চালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় তার জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় অপর একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ এক বছর পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেরা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশীদ মন্ডল ৩৫ জনকে আসামী করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশীট) দাখিল। করেন। এই মামলায় ৩৫ জন আসামীর মধ্যে ২৩ জন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছে। ১২ জন আসামী এখনো পলাতক রয়েছে।