বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের মামলায় পুলিশের ৫ সদস্যের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সোয়া ১০টা পর্যন্ত সাত খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার নূর হোসেন, তারেক মুহাম্মদ সাঈদ সহ ২৩ আসামীর উপস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে ওই ৫ জনের সাক্ষ্য ও জেরা গ্রহণ করা হয়। শুনানী শেষে আদালত আগামী ১৬ আগস্ট পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য্য করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, সোমবার পুলিশের এস আই আবদুর রাজ্জাক ও কানাই লাল চক্রবর্তী, এএসআই এএসআই সাইদুল ইসলাম, এনায়েত হোসেন ও নুরুল আমিন এর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় যাদের সাক্ষী করা হয়েছিল এসব পুলিশ সদস্য ওইসব সাক্ষীদের বাড়ি ও ঠিকানা নিশ্চিত করার তদন্ত কাজটি করেছিলেন। এখন পর্যন্ত সাতখুন মামলার দুই মামলায় মোট ১০০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, সাত খুনের ঘটনায় দুটি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী নিহত আইনজী চন্দন সরকারের মেয়ে জামাতা বিজয় কুমার পাল ও অপর বাদী নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। দুটি মামলাতেই অভিন্ন সাক্ষী হলো ১২৭জন করে।
প্রসঙ্গত ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্ত শেষে প্রায় এক বছর পর গত ৮ এপ্রিল নূর হোসেন, র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাত খুনের দুটি মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২৩ জন কারাগারে আটক রয়েছেন। আর চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে এখনো ১২ জন পলাতক রয়েছে।