বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নিয়োজিত সেই সকল মেথর, ধাঙ্গড়, ভূঁইমালি বা ঝাড়ুদারকে হরিজন বলা হয়ে থাকে। অনগ্রসর দলিতদের একটি অংশ এই হরিজনরা শুধুমাত্র এই পেশা অবলম্বনের জন্য সামাজিকভাবে অবহেলিত ও বঞ্চিত।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেশ স্বাধীনের পর থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও উপজেলা শহরের কয়েকটি স্থানে হরিজন সম্প্রদায় বসবাস শুরু করে। বর্তমানে জেলা শহরের রেলিবাগে এ সম্প্রদায়ের লোকজন বসবাস করে।
কলোনিটিতে অস্বাস্থ্যকর, নোংরা পরিবেশ, নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, ড্রেনেজ, কলোনিগুলোতে কাঁচা-আধাপাকা, টিনসেড ও কিছু পাকা ঘর আছে, এক একটি ঘরের মধ্যে বাবা-মা, ভাই-বোন, ছেলে-ছেলে বউ, মেয়ে-মেয়ে জামাইসহ ৭-৮ জন লোক বসবাস করে।
এছাড়া হরিজন সম্প্রদায়ের শিশুরা মেথরের ছেলে-মেয়ে হিসেবে অবহেলিত, সুবিধাবঞ্চিত। পড়ালেখার জীবনে প্রবেশ করতে পারে না। ফলে কচি বয়সেই বড়দের মতো ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের কাজে লেগে যায়। সামাজিক দৃষ্টিতে হরিজনরা খুবই নীচু হওয়াতে মানুষের জীবনের মৌলিক অধিকারগুলো কখনোই এরা কল্পনা করতে পারে না। ন্যূনতম সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা পায় না। এমনকি দোকান-পাটে গেলে চা নাস্তা সহ অন্যান্য খাবার দেওয়া হয় না। অথচ তাদের ভোটাধিকার আছে। আছে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার অধিকার।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ৫ দফা দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর জাত-হরিজনদের সমস্যা সমাধানের জন্য স্বারকলিপি তুলে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়ার হাতে। এসময় সম্প্রদায়ের নেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অনেকেরই কাজ নেই বেকার বসে আছে।
এছাড়া পাবলিক-প্রাইভেট সেক্টরে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে অনেকে নিয়োজিত। আবর্জনা, ড্রেনেজ পরিষ্কারসহ ৩-৪ ধরনের কাজ করেন নারী-পুরুষ। কিন্ত এদের বেতন কাঠামো খুবই হাস্যকর, মাসিক ৮০০ থেকে সর্বচ্চো ৩ হাজার টাকা।
তাদের চাকরি স্থায়ী নয়, মাস্টার রোলে কাজ করতে হয়। মেডিক্যাল ভাতা, মাতৃত্বকালীন ছুটি, উৎসব ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধাও নেই।