বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৯ সালের জানূয়ারীতে অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে সরকারী দল আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় ভাবে দলের নেতা নির্বাচন করেছেন। তৃণমূল পর্যায়েও তাঁরা ঘর গুছিলে নিয়েছেন ভাল করে। বাকী দল গুলোর মধ্যে বড় দল বিএনপি, জাতীয় পার্টিও তাদের ঘর গোছাতে শুরু করেছে। অপরদিকে জামায়াতের অবস্থান বোঝা যাচ্ছে না। তবে ওরা বিএনপিকে সমর্থন দিয়ে যাবে তাতে কোন সন্দেহ নাই। বিএনপি ছাড়া জামায়াতের বিকল্প কোন রাস্তা এই মুহুর্তে খোলা নেই তাদের সামনে। জামায়াতের নীতি নির্ধারনী ও বড় মাপের নেতারা যারা দীর্ঘকাল জামায়াতকে দেশব্যপী ছড়িয়ে দিতে কার্যকরী ভুমিকা রেখেছিল ইতিমধ্যে যুদ্ধাপরাধের অপরাধী হয়ে ফাঁসিতে ঝুলেছেন। সে কারনে জামায়াত নির্বাচনী বৈতরনী পার হতে যে নেতৃত্বের প্রয়োজন সেটি তাদের এই মুহুর্তে নাই। তাই আগামী ২০১৯ সালের নির্বাচন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জোট এবং বিএনপি ও তাদের দলীয় জোটের মধ্যেই সীমাবন্ধ থাকবে।
নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনের মধ্যে জাতীয় সংসদের আসন রয়েছে তার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-৫(সদর-বন্দর) আসনটি কোন না কোন কারনে ২ দলের কাছেই সমান গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসে ততই বড় ২ দলের কাছে এই আসনটির গুরুত্ব বিবেচনা করে উভয় দলের প্রার্থীদের বিজয় লাভের বাসনা থেকে যায়। ইতিমধ্যেই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ মহজোট ছাড়ার ঘোষনা দিয়েছেন। সে হিসেবে এই আসনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে এবং বিজয় নিশ্চিত করতে হলে এবার ভাল কোন প্রার্থীকে নমিনেশন দেয়া প্রয়োজন হতে পারে। দশম জাতীয় নির্বাচনে এ আসনে মহাজোট সমর্থিত প্রার্থী নির্বাচন করায় নৌকা প্রতীকে কোন প্রার্থী নির্বাচন করেননি। তবে এবার নৌকা প্রতীকে প্রার্থী নির্বাচন করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ আসনে নৌকার কোন হেভিওয়েট প্রার্থী না থাকলেও জাতীয় পার্টির বর্তমান সাংসদ একেএম সেলিম ওসমানকে পরাজিত করতে পারে সেলক্ষ্য বিএনপি হেভিওয়েট প্রার্থী বাছাইয়ে নেমেছেন। এ আসনটির গুরুত্ব ও জাতীয়পার্টির দখলে থাকায় সরকারী দল চাইবে তাদের যোগ্য প্রার্থী পুনরায় বিজয় লাভ করুক। অপরদিকে হারানো আসনটি ফিরে পেতে বিএনপিও শক্তিশালী প্রার্থীর সন্ধান করবে এটাই স্বাভাবিক। সেই ক্ষেত্রে বিএনপি’র জন্য শক্তিশালী ও যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন জরুরী। আবেগ নয় বাস্তবতাকে সামনে রেখে যোগ্য প্রার্থী হতে পারেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদাজিয়ার উপদেষ্টা এড.তৈমুর আলম খন্দকার। এড.তৈমুর আলম খন্দকার দলের জন্য যোগ্য, পরীক্ষিত ও কর্মঠ একজন নেতা। কি করে এলাকার উন্নয়ন করে মানুষের সেবা করা যায় সেটি তার চাইতে আর ভাল কেউ জানেন না। দলের দুঃসময়ে নারায়ণগঞ্জের মাটিতে দলীয় কর্মসূচী পালনসহ নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে তাঁর রয়েছে বিশাল সুনাম। এলাকার উন্নয়নে বিগত দিনে যার বিশাল ভূমিকা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রয়াত সাবেক সাংসদ একেএম নাসিম ওসমান। তিনি এখানকার উন্নয়নের রোল মডেল। তাঁর আমলে সদর ও বন্দর এলাকায় অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে। তিনি সাংসদ নির্বাচিত হয়ে তার নির্বাচনী এলাকার নিচু জমি মাটি দিয়ে ভরাট অযোগ্য এলাকাকে বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। নাসিম ওসমান সাংসদ থাকাকালীন সময়ে দলীয় নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধসহ জাতীয় পার্টিকে একটি শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে পরিচিতি করে তুলেছেন। এমনকি তিনি সাংসদ থাকাকালীন সময়ে এ আসনে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড সংগঠিত হয়েছে। পরবর্তীতে সাংসদ থাকাকালীন সময়ে নাসিম ওসমানের অকাল মৃত্যুতে এ আসনের সাংসদ নির্বাচিত হন তার ছোট ভাই একেএম সেলিম ওসমান। তিনিও সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর পরই প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের অসর্ম্পূনকাজ সমাপ্ত করার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেন। বেকারত্ব দূরীকরনের লক্ষ্যে শিল্পপল্লী গড়ে তুলেন। এমনকি এলাকার রাস্তাঘাট সংষ্কার, শিক্ষাক্ষেত্রে তার ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে অনুদান প্রদানের মাধ্যমে গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মেধাবিকালে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য। এক কথায় জাতীয় পার্টির সাংসদ সেলিম ওসমান একজন রোল মডেল। এছাড়া নারায়ণগঞ্জের বিরাজমান রাজনীতিকে কোন্দল ও প্রভাবমুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করে গেছেন। বর্তমান নাসিক মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীর সাথে এক টেবিলে বসে নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের প্রশ্নে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজের অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়া দক্ষ রাজনীতিবীদের প্রশংসার দাবিদার হয়েছেন তিনি। এদিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁকে দলীয় মনোনয়ন দিলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্ধিতা সৃস্টি হবে। সেলিম ওসমান তাঁর কর্মের মাধ্যমে সাধারন মানুষের কাছে অভাবনীয় গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি করেছেন। তাঁকে দলীয় মনোনয় দিলে দল ও নিরপেক্ষ ভোটার টানতে তিনি সক্ষম হবেন। তাতে করে তাঁর বিজয়রথ হয়তো দ্রুত পার হতে পারবে বলে সাধারন মানুষ মনে করেন। অপরদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এড.তৈমুর আলম খন্দকারকে এ আসনে আগামী জাতীয সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দিলে অনায়াসে একজন পরীক্ষিত ও সফল রাজনীতিবিদকে পেয়ে নির্ভার থাকবে। তাঁর বিজয় লাভের ব্যাপারে নিজ দল অবশ্যই শতভাগ নিশ্চিত থাকবে বলে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের আশা।