স্টাফ রিপোর্টার,বিজয় বার্তা ৩
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, অবসরকালীন রায় লেখা ইস্যুতে প্রধান বিচারপিত ও সদ্য অবসরে যাওয়া বিচারপতির মধ্যে বিতর্ক একান্তই তাদের ব্যক্তিগত আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ। বিচারের নামে অবিচার করতে বিচার বিভাগকে সেই ক্ষমতা দেয়া হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সোমবার জাতিংসঘে অনুষ্ঠিত ‘ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ)’ সেমিনারে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।
সুরঞ্জিত দুই বিচারপতির বিতর্ককে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের সঙ্গে তুলনা করে বিএনপি পাগলের প্রলাপ বকছেন বলেও মন্তব্য করেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিচারপতিদের বিতর্ক ইস্যুতে সরকারের শীর্ষ নেতা ও মন্ত্রীদের বক্তব্যের পাশাপাশি খোদ জাতীয় সংসদেও চলছে তুমুল উত্তেজনা। বিষয়টি বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে না বরং এ নিয়ে সাংবিধানিক ব্যাখ্যাই দেয়া হচ্ছে জাতীয় সংসদে।
সুরঞ্জিত বলেন, বিচারপতি খায়রুল হকের অবসরকালীন রায় লেখার পর ওই বিলে বর্তমান প্রধান বিচারপতিও স্বাক্ষর করেছেন। তাহলে আমার উল্টো প্রশ্ন- তিনি কীভাবে এ নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, মামলার নিষ্পত্তি ঘটানোর ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই যুগযুগ ধরে অবসরে গিয়েও রায় লিখেছেন বিচারপতিরা। যা ইন্ডিয়া, শ্রীলঙ্কা কিংবা পকিস্তান ও বাংলাদেশে বিরাজমান। এ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তোলার কোনো কারণ নেই।
প্রধান বিচারপতির ব্যক্তিগত মন্তব্যকে ঘিরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে শুরু হওয়া বিতর্কে সরকার কিছুটা হলেও বিব্রত দাবি করে সুরঞ্জিত বলেন, এই ইস্যুর সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক বিষয়টি টেনে এনে পাগলের প্রলাপ বকছে বিএনপি।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার্থে কিংবা অবসরকালীন রায় লেখা বাতিল করতে হলে নতুন রুল কিংবা সংশোধনীর প্রয়োজন আছে। এর আগে স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে কথা বলা প্রধান বিচারপতির ঠিক হয়নি।