বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
আগামী ১৫ বছরের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বুধবার জাতীয় সংসদে নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন শিল্প ও সেবাখাতে বিনিয়োগের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ ইকোনোমিক জোনস অ্যাক্ট ২০১০ প্রণয়ন এবং বাংলাদেশ ইকোনোমিক জোনস অথরিটি (বেজা) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিনিয়োগবান্ধব নতুন শিল্পনীতি ঘোষণা করা হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আমি ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়ন কাজ উদ্বোধন করেছি। ইতোমধ্যে ৭৭টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। আগামি ১৫ বছরের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এতে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
সরকার ও ব্যক্তিখাত সম্মিলনে অবকাঠামো খাত ও অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করার জন্য পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) অথরিটি গঠন করা হয়েছে। এসকল খাতে বিনিয়োগ করার জন্য পিপিপি গাইডলাইনস প্রণয়ন করা হয়েছে। এর ফলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হবে এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে উৎসাহিত হবে।
এছাড়াও বিশেষ বিশেষ শিল্পখাতের জন্য ৫-১০ বছর কর রেয়াত সুবিধা; শতভাগ রপ্তানীমুখী শিল্পে শুণ্য শুল্ক হারে যন্ত্রপাতি আমদানি ও বন্ড সুবিধার আওতায় কাঁচামাল আমদানির সুবিধা; দ্বৈত কর রেয়াত সুবিধা (বাংলাদেশের সঙ্গে অন্যান্য দেশের সম্পাদিত দ্বি-পাক্ষিক কর প্রত্যাহার চুক্তির আলোকে); রয়্যালিটি, কারিগরি সহায়তা, কারিগরি প্রজ্ঞান ফি প্রত্যাবাসন সুবিধা; ইউরোপসহ অধিকাংশ উন্নত দেশে ডিউটি ও কোটা ফ্রি প্রবেশ সুবিধা প্রাপ্ত; শতভাগ বিদেশি মালিকানা সুবিধা প্রদান; শতভাগ মূলধন ও মুনাফা প্রত্যাবাস সুবিধা প্রদান; বিদেশি কর্মীদের কর্মানুমতি প্রদান; ইউডি, আইআরসি এবং বন্ড নবায়ন সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।
বিকাল ৫টা ৩১ মিনিটে ময়মনসিংহ-৮ আসনের সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের তারকা চিহ্নিত প্রশ্ন ৬৭ উত্থাপনের মাধ্যমে প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হয়।