বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি থেকে উদ্ধারের পর নিখোঁজ আবুল হাসনাত রেজাউল করিম ও তাহমিদ হাসিব খান জিজ্ঞাসাবাদের পর্যায়ে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত এবং প্রবাসী যুবক তাহমিদকে উদ্ধারের পর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দিয়েছে দাবি করলেও কাউকে পায়নি বলে তাদের পরিবার ইতোমধ্যে জানিয়েছে।
শনিবার নিজের দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, তারা এখনও জিজ্ঞসাবাদের পর্যায়ে রয়েছেন।”ওই দুজন কোথায় আছে- প্রশ্ন করা হলে তা এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, “সেটা তদন্তকারী দল বলতে পারবে। তাদের জিজ্ঞাসা করেন।
হাসনাত ও তাহমিদ কোথায় জানতে চাইলে এক সপ্তাহ আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, যাদের উদ্ধার করা হয়েছিল তাদের প্রত্যেককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কেউ এখন পুলিশের কাছে নেই।
তারপর হাসনাতের বাবা এম আর করিম এবং তাহমিদের বাবা শাহরিয়ার খান উভয়েই বলেন, তাদের সন্তানরা বাড়িতে ফেরেনি। তারা পুলিশের কাছেই রয়েছে বলে তাদের ধারণা।
গুলশানের ওই ক্যাফেতে ১ জুলাইয়ের জিম্মি দশার একটি ভিডিওচিত্র প্রকাশের পর নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাতের বিরুদ্ধে হামলায় সম্পৃক্ততার সন্দেহের কথা উঠে আসে ফেইসবুকে।
হাসনাত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। ক্যাফেতে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে যে পাঁচ হামলাকারী নিহত হন, তাদের মধ্যে নিবরাজ ইসলামও ঢাকার এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।
অন্যদিকে ব্যবসায়ী শাহরিয়ার খানের ছেলে তাহমিদ কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। গুলশানের ঘটনার একদিন আগে দেশে ফিরে ইফতারের পর বন্ধুদের সঙ্গে তিনি ওই ক্যাফেতে গিয়েছিলেন বলে পরিবারের ভাষ্য।
ঘটনার কয়েকদিন পর ঢাকার পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এই দুজনেরও হামলায় সম্পৃক্ততার সন্দেহের কথা জানিয়েছিলেন।সংবাদ সম্মেলনে আসাদুজ্জামান মিয়া গুলশানে জঙ্গি হামলার তদন্তে ‘যথেষ্ট অগ্রগতি’ হয়েছে বলে দাবি করেন।
সন্ত্রাসীরা সবাই দেশি। দেশেই তারা প্রশিক্ষণ নিয়েছে। তবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্র জড়িত থাকতে পারে- এটা উড়িয়ে দেই না। আমরা সেটা তদন্ত করে দেখছি।