বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
ফতুল্লা মডেল থানায় হনুফার অপমৃত্যু মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তিত হয়েছে।এই মামলায় পাষন্ড স্বামী হাবিবুল্লাহসহ ৫/৬ জনকে আসামী করে নিহতের মা আয়শা বেগম (৬০) বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং -৬২(১১)১৭।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ফতুল্লার কাশীপুর হাজীপাড়া এলাকার মৃত মরন আলীর ছোট মেয়ে হনুফা আক্তার (৩২)। তাকে ইসলামের শরীয়ত মোতাবেক একই থানাধীন মুসলিম নগর মরাখাল এলাকার মৃত আমিনুদ্দির সনকারের ছেলে হাবিবুল্লাহ ওরফে হাবিব (৩৬) এর কাছে বিবাহ দেয়। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। তার নাম জিহাদ (১০)। হাবিব এলাকায় বিভিন্ন জনের কাছ থেকে কিস্তিতে টাকা তোলে আর এই টাকার জন্য এলাকার লোকজন ও পাওনাদারেরা হনুফাকে নানাভাবে মানষিক চাপ সৃষ্টি করে আসছে। এমনকি ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার জন্য স্ত্রী হনুফাকে নানাভাবে মারধর করে আসছে তার স্বামী হাবিব ভাসুর ও ঝা সহ সবাই উস্কানী দিয়ে হনুফাকে নির্যাতন করে। ফলে তাদের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত ১ আগষ্ট রাত তিনটা হতে পরের দিন ভোর ৭ টার মধ্যে যেকোন সময় হনুফা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
এই ঘটনায় ২ আগষ্ট ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেয় পুলিশ । চিকিৎসকের রির্পোটে পুলিশ ময়না তদন্ত শেষে হত্যা মামলা নেয়। এই মামলায় হাবিবুল্লাহ তার ভাই সানাউল্লাহ (৩৮), তার স্ত্রী বিউটি (৩৫), তার মা আমিনুর বেগম (৬০) কে আসামী করা হয়।