বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ শহরের কালিরবাজার নিখোঁজের ২২ দিন পর স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষের লাশ কাঁধে নিয়ে মিছিল করার সময় হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি জানিয়েছেন তার স্বজনরা ও স্বর্ণব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার বিকেলে শহরের চাষাঢ়ায় বিকেলে নিহত প্রবীর ঘোষের লাশ নিয়ে মিছিল নিয়ে এই ফাঁসি দাবি জানান তারা।পরে নারায়ণগঞ্জের মাসদাইর শ্বশানে তার অন্তষটী ক্রিয়া শেষ করা হয় ।
গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় স্বর্ণ মার্কেটের পার্শ্ববর্তী আমলাপাড়া এলাকার ১৫/ কেসি নাগ রোড এলাকার রাশেদুল ইসলাম ঠান্ডুর চার তলার সেফটি ট্যাঙ্কের ভেতর থেকে তিনটি বস্তায় ভর্তি অবস্থায় প্রবীরের ৫ টুকরো খন্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ শহরের কালীরবাজারে ভোলানাথ জুয়েলার্সের মালিক প্রবীর ঘোষের হত্যার সঙ্গে তারই ঘনিষ্ঠ বন্ধু পিুন্ট দেবনাথ ও বাপন ভৌমিক জড়িত। তারাই নৃসংশভাবে প্রবীর ঘোষকে হত্যার পর লাশ গুমের উদ্দেশ্যে কেটে টুকরো টুকরো করে সেফটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়। এরমধ্যে বাপন ভৌমিক বাবু পিন্টু দেবনাথের কর্মচারী। হত্যার পর পিন্টু ভৌমিক প্রবীর ঘোষের মোবাইল ফোনটি বাপনকে ব্যাবহার করতে দেয়। পরে মোবাইল ট্যাকিং করে আইএমইআই নাম্বারের সূত্র ধরে প্রবীর ঘোষের মোবাইলসহ বাপনকে আটক করা হয়। তার তথ্যমতে আটক করা হয় পিন্টু ভৌমিককে। মূলত আর্থিক লেনদনের কারণেই খুন হয়ে থাকতে পারেন প্রবীর ঘোষ, প্রাথমিকভাবে এমনটাই নিশ্চিত হয়েছেন পুলিশ। মঙ্গলবার (১০ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মঈনুল হক।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে নিহতের লাশের বাকি অংশ উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।