বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যাওয়া কথিত স্বামী শাওনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার ( ৫ ফেব্রুয়ারী ) সন্ধ্যায় র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি সনদ বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে দুপুরে ফতুল্লার কুতুবআইল এলাকা থেকে স্বামী শাওন ওরফে ফরহাদ ওরফে শাকিলকে” গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত শাকিল ওরফে শাওন ওরফে ফরহাদ পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার কালাইয়া কমলার দিঘীর পশ্চিম পাড়ের ফরিদ গাজীর ছেলে।
র্যাব-১১ এর কর্মকর্তা সনদ বড়ুয়া জানান, নিহত তরুনীর নাম তাসনিম (২২)। সে বি-বাড়িয়া জেলার সরাইল থানার রানিদিয়া গ্রামের সায়েদ মিয়ার মেয়ে। সে মাসদাইরস্থ আমানা গার্মেন্টসে চাকুরী করতো। গত ১ লা জানুয়ারী সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে তার স্বামী শাকিল নিহত ভিকটিম তাসনিমকে নিয়ে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন। জানা যায়, বিগত ৩/৪ পূর্বে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় অবস্থিত আমানা গার্মেন্টসে কাজ করতেন।
তিনি আরো জানান, ওই গার্মেন্টসের পাশেই একটি বাড়িতে তারা দুজন ভাড়া থাকতেন। শাকিল ওরফে শাওন নিথর অবস্থায় তাসনিমকে শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। তখন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর কৌশলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় শাওন। চিকিৎসকের ধারণা, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরই প্রেক্ষিতে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই চাঞ্চল্যকর “হত্যা মামলার” অন্যতম প্রধান আসামী ও চাঞ্চল্যকর অপরাধী শাওন @ ফরহাদ @ শাকিল (২৩) হত্যাকান্ডের পর থেকে আত্মগোপনে ছিল।
তিনি আরো জানান, এরই ধারাবাহিকতায় জেলার ফতুল্লা থানাধীন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী’কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।