বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চাঞ্চল্যকরশিশু‘‘হুমাইরা আক্তার’’ হত্যা মামলার মূল হত্যাকারী সেলিম ও শুক্কুর নামে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
রাতে মুন্সীগঞ্জের সদর থানাধীন দক্ষিণ কেওয়ার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নারায়ণগঞ্জের সোনারগায়ের শুক্কুর আলীর ছেলে মোঃ সেলিম মিয়া @ উদয় (২২) ও অপর সহযোগী মৃত হাসন আলীর ছেলে মোঃ শুক্কুর আলী (৫০)।
বিয়ষটি নিশ্চিত করে র্যাব-১১ এর স্কোয়াড্রন লীডার এ কে এম মুনিরুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গত ২৮ই জুলাই ২০২২ তারিখে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন বড়নয়াগাঁও এলাকায় ‘‘হুমাইরা আক্তার’’ নামে ০৭ বছর বয়সী এক শিশুর বালুর মধ্যে অর্ধেক পুঁতে রাখা অবস্থায় একটি লাশ পাওয়া যায়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা মোছাঃ সেতেরা বেগম বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামী মোছাঃ বৈশাখী আক্তারের স্বামী মোঃ সজীবের সাথে আসামী মোঃ সেলিম মিয়া @ উদয় (আসামী মোছাঃ বৈশাখী আক্তারের ভগ্নিপতি)এর বিরোধ চলছিল। উক্ত বিরোধের জের ধরে সেলিম সজীবের প্রতি প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে তার বোনহুমাইরাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। উক্ত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সেলিম তার শ্যালিকা বৈশাখীকেশিশু হুমাইরাকে তার হাতে তুলে দিতে বলে। আসামী বৈশাখী তার শ^শুরবাড়ীর লোকজনের সাথে পারিবারিকসম্পর্কের অবনতি হওয়ায় উক্ত প্রস্তাবে রাজি হয় এবং ভিকটিমকে বেড়ানোর কথা বলে তাকে সাথে নিয়ে আসামী সেলিমের কাছে তুলে দেয় এবং বাড়ীতে এসে ভিকটিম হারিয়ে যায় বলে জানায়।পরবর্তীতে আসামী সেলিম এজাহারে উল্লেখিত অন্যান্য আসামীদের সহযোগিতায় পরস্পর যোগসাজশে শিশু হুমাইরাকে হত্যা করে লাশ গুম করেএবং নিখোঁজের দুইদিন পর তার লাশ সোনারগাঁ থানাধীন বড় নয়াগাঁও এলাকায়বালুর মধ্যে অর্ধেক পুঁতা অবস্থায় পাওয়া যায়। মূলত পারিবারিক কলহের জের ধরে এই হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় উক্ত হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে। উক্ত হত্যা মামলার অধিকতর তদন্তের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
র্যাব-১১ কর্তৃক উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।