বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের সোনারগায়ে ডাকাত দলের নেতা ও ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহষ্পতিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি মোঃ রিজওয়ান সাঈদ জিকু।
গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের নেতা মোঃ মিজানুর রহমান (৪০) নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন মাঝেরচর এলাকার বাসিন্দা ও ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা মোঃ সেন্টু (৪০) সদর থানাধীন কিল্লারপুল এলাকার বাসিন্দা।
রিজওয়ান সাঈদ জিকু জানান, বৃহষ্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন মাঝেরচর এলাকা থেকে ডাকাত দলের নেতা মিজানকে ও ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা মোঃ সেন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ডাকাত দলের নেতা আসামী মোঃ মিজানুর রহমান (৪০) গত ২ ফেব্রুয়ারী রাতে রূপগঞ্জের বাড়ৈপাড়া এলাকায় মোঃ মোমেন চৌধুরীর বসত বাড়ীতে কৌশলে বারান্দার গ্রিল কেটে ৬/৭ জন অজ্ঞাতনামা আসামীসহ প্রবেশ করে। বাড়িতে প্রবেশ করে মোঃ মোমেন চৌধুরী, তার স্ত্রী ও মেয়েকে অস্ত্রের মুখে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে বাড়িতে থাকা টাকা-পয়সা, স্বর্নালংকার, মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুন্ঠন করে নেয়। পরে এ ঘটনায় বাদী হয়ে মোঃ মোমেন চৌধুরী রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এর প্রেক্ষিতে এ ঘটনায় নিয়ে র্যাব-১১ তদন্ত করে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, মাদক, চাদাঁবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোঃ মিজানুর রহমান এ ঘটনার সাথে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
তিনি আরো বলেন, এদিকে গ্রেপ্তারকৃত মোঃ সেন্টু গত ১৯ ফেব্রুয়ারী রূপগঞ্জের ৩০০ ফিট হাইওয়ে রাস্তার উপর প্রবাস থেকে আগত যাত্রীর মাইক্রোবাসকে সংগীয় ৪ জন আসামীসহ পথরোধ করে। পথরোধ করে মাইক্রোবাসে থাকা যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ভয়-ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে তাদের কাছে থাকা টাকা-পয়সা, স্বর্নালংকার, মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। পরে এ ঘটনায় ২২ ফেব্রুয়ারী বাদী হয়ে ভুক্তভোগী ইমরান হোসেন খান রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এর প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে ছায়া তদন্ত করে র্যাব অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা সেন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক, চাদাঁবাজিসহ অন্যান্য ধারায় ১৯টি মামলা রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামী সেন্টু এ ঘটনার সাথে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।
পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য গ্রেপ্তারকৃত মিজান ও সেন্টুকে রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।