বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
সোনারগাঁও উপজেলাধীন সনমান্দি ইউনিয়নের ঈমানেরকান্দি গ্রামে হোসনেআরা বেগম (৩৫) নামে ১ গৃহিনীকে ধর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়ে তাকে এবং তার সাথে থাকা তার নাতনী আমেনা (৩) কে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে বলে জানা গেছে। শনিবার ১৪/০১/২০১৭ তারিখে সোনারগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন হামলার শিকার হোসনেআরা। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, সনমান্দি ইউনিয়নের ঈমানেরকান্দি গ্রামের শাফী আহম্মেদের স্ত্রী হোসনেআরা তার বসতবাড়ির দক্ষিনে শ্রীমতি চকে গত ১৩/০১/১৭ তারিখ শুক্রবার আনুমানিক বিকেল ৫টায় প্রতিদিনের ন্যায় তার নাতনী আমেনাকে নিয়ে গৃহপালিত গরুর জন্য ঘাস কাটতে গেলে সেখানে পূর্ব থেকেই উৎপেতে থাকা একই এলাকার ভাটিরচর গ্রামের জালু মিয়ার ছেলে লম্পট আলম (২৬) হোসনেআরাকে ধর্ষণ করার জন্য তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তখন হোসনে আরা আত্মরক্ষার্থে চিৎকার করলে পাশে থাকা বাশের লাঠি দিয়ে তাকে এলোপাথারীভাবে পিটিয়ে ঝখম করে আলম। অতঃপর আঘাত খেয়ে হোসনেআরা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আলম জোরপূর্বক হোসনেআরার গায়ের জামা-কাপড় খোলার চেষ্টা করে এবং হোসনেআরার হাতে থাকা কাঁচি কেড়ে নিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সজোড়ে তার মাথায় ও পায়ে অসংখ্য আঘাত করে। তখন সে হাত দিয়ে আটকাতে গেলে কাচির আঘাতে তার হাতের আঙ্গুল মারত্মকভাবে কেঁটে যায় এবং পা সহ শরীরের কয়েক জায়গায় মারাত্মকভাবে ঝখম হয়। এদিকে তার সাথে থাকা তার নাতনী আমেনা তার কাছে এগিয়ে আসলে, আলম তখন আমেনার ডান পায়ে বাশ দিয়ে জোড়ে আঘাত করলে শিশুটির ডান পায়ের দুটি হাড় ভেঙ্গে যায় (যা এক্সরে রিপোর্ট দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে)। তখন ডাকচিৎকার শুনে আশেপাশের লোক জড়ো হলে লম্পট আলম দৌড়ে পালিয়ে যায়। তখন উপস্থিত লোকজন তাদেরকে এ অবস্থায় উদ্ধার করে মোগড়াপাড়ায় সেবা ক্লিনিকে নিয়ে যায়। বর্তমানে তারা ২ জনেই মারাত্মকভাবে আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছে এবং শিশুটির অবস্থা আশংকাজনক বিধায় তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে সর্বশেষ জানা গেছে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার এসআই মাকসুদুর রহমান জানান ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে’।